1. modhumotikanthobd@gmail.com : Shohidul Islam : Shohidul Islam
  2. modhumotikantho@gmail.com : support : Shohidul Islam
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ, মহাসড়ক অবরোধ ও লিকু গাজীর পদত্যাগ দাবি  বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ-এর শ্রদ্ধা কে হচ্ছেন নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোপালগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহতের খুনিদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ টুঙ্গিপাড়ায় ইজিবাইক-চালক আরমান শেখের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ মুকসুদপুরে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনী দিনে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় জেলা প্রশাসক পদের জন্মদিন: মুকসুদপুরে দরিদ্র্য জেলেদের মাঝে বিকল্প কর্মসংস্হান এর মাদারীপুরে দালাল চক্রের হাত থেকে সরকারী কোটি কোটি টাকা রক্ষা টুঙ্গিপাড়ায় ইজিবাইক-চালক আরমান শেখের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ 

গোপালগঞ্জে নিলামের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যের বিরুদ্ধে

  • Update Time : বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৭৮ Time View

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

গোপালগঞ্জে সরকারি স্পট নিলামের অর্থ সরকারি কোষাগরে জমা না দিয়ে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার ৭ নং উরফি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও নিলাম কমিটির সভাপতি মনির গাজী ও ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল বশার খানের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহসিন উদ্দিনের নির্দেশে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিনের তত্ত্বাবধানে চলতি বছরের গত ৪ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার ৭ নং উরফি ইউনিয়নের মকিমপুর পুরাতন আশ্রয়ন প্রকল্পের জরাজীর্ণ মালামাল (ঢেউটিন, বিভিন্ন সাইজের কাঠ, রড/লোহা, সিমেন্টের তৈরি পিলার) স্পট নিলাম কোটেশনের ভিত্তিতে সাড়ে ৬ লক্ষ টাকায় বিক্রয় হয়। উক্ত মালামাল বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মনির গাজী ও ইউপি সদস্য আবুল বশার খান ক্রয় করেন। ক্রয়মূল্য বাবদ নির্ধারিত অংকের টাকাগুলো ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারের নির্দিষ্ট কোডে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মনির গাজী ও ইউপি সদস্য আবুল বশার খান উক্ত অর্থ আত্মসাৎ এর উদ্দেশ্যে এ প্রতিবেদন লেখার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত তারা সরকারের কোষাগারে‌ তা জমা দেননি।

এদিকে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিনকেও অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের পক্ষে কথা বলতে শোনা যায়।

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে নিলামের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ -এর এ ঘটনায় এলাকায় ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা -কর্মচারীদের মাঝে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছে।

এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দিনের নিকট প্রায় দুই মাসের অধিক সময় পার হলেও
টাকাগুলো আজও চেয়ারম্যান মনির গাজী ও ইউপি সদস্য আবুল বশার খান সরকারের কোষাগারে জমা দিচ্ছেন না কেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান মহোদয় ও মেম্বারের সাথে কথা হয়েছে, তারা দ্রুতই টাকাগুলো জমা দিয়ে দিবেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৭ নং উরফি ইউপি চেয়ারম্যান মনির গাজীর ব্যবহৃত ০১৭১১…৬১৩ মুঠো ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবুল বশার খানের ০১৭…২৩১ নম্বরে কল দিয়ে গণমাধ্যমকর্মী পরিচয়ে কত টাকায় টেন্ডারটি ক্রয় করেছিলেন? জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রমাণ আছে, অফিসে খোঁজ নেন, এর একপর্যায়ে গণমাধ্যমকর্মীকে বলেন, আপনি পারলে কিছু করেন বলে কলটি কেটে দেন।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহাসিন উদ্দিনের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মনির গাজীকে টেন্ডার কমিটির সভাপতি করা হয়েছে, আমি বিষয়টি জেনে জানাবো।

এবিষয়ে সুশীল সমাজ মনে করেন
দায়িত্বশীল ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য কর্তৃক এ ধরনের কর্মকাণ্ড সমাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাত্রা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করলেই কেবল সমাজ থেকে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি রোধ করা সম্ভব।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021
Design & Developed By : Modhumoti Kantho