মুকসুদপুর (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধিঃগোপালগন্জের মুকসুদপুর উপজেলার ৩ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার কামাল হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সাথে তার উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব পালন করে এসেছেন।ঘটনার বিবারনে জানা যায় যে,মুকসুদপুর উপজেলার ৩ নং গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দফাদার মেঃকামাল হোসেন বাথানডাঙা টু বেজড়া খাল / নদীর ফকির হাটখোলা নামক স্থানে ২৬ নং চকমাঝিগাতী মৌজার ০১ নং খাস খতিয়ানের ৩৮১ নং দাগের নদীর পাড়ের সরকারি জায়গা হইতে অবৈধ ভাবে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মূল্যের গাছ কর্তন করেছেন মর্মে মিথা বানোয়াট অভিযোগ পাওয়ায় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী অফিসার সাইফুল ইসলাম কে অবহিত করা হলে তিনি নিজে না গিয়ে তার নিম্নস্তর কর্মচারীরা সরোজমিন গমন করে ১০ /০৩/২৪তারিখে তহশিলদার সাইফুল কে ভুলবাল বুঝিয়েছেন তাদের তথ্যমতে সাইফুল ইসলাম ১,৫৫ নং স্বারকে প্রতিবেদনে দেখা যায় দফাদার কামাল হোসেন ফকির হাট খোলা সরকারি জায়গা হইতে অবৈধ ভাবে একটি লাটিম গাছ ও একটি বাবলা গাছ কর্তন করেছেন যাহার আনুমানিক মুল্য ৩৮ হাজার টাকা, তহশিলদারের মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন প্রতিবেদন সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমাম রাজি টুলুর কাছে পেস করেন ইএনও মহোদয় কোন রকম যাচাই বাচাই ছাড়াই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে একজন সৎ সাহসী ও পরোপকারী দফাদার কামাল হোসেন কে স্হানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ)কর্মচারী বিধিমালা বিধিবলে তাকে ১১/৩/২৪ তারিখে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। এ ব্যাপারে মুকসুদপুর স্হানীয় সাংবাদিক দ্বয় ঘটনা স্হানে সড়োজমিন করে জানতে পারেন যে, যেখান থেকে ১ টি লাটিম গাছ ও একটি বাবলা গাছ কেটেছেন তার পাশেই কুমার নদী যেখানে গাছের পাশদিয়ে নদীতে দৈনন্দিন জীবনে কৃষি কাজসহ শত শত নারী পুরুষ গোসল করে থাকেন শত শত স্হানীয়রা আমাদেরকে জানিয়েছেন যে,নদীর পাড়ে এই গাছ থাকার কারনে আমাদের এবং আমাদের অনেক ছেলেমেয়েদের হাত পা ভেঙেছে যে, কারনে আমরা আমাদের চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে কামাল কে গাছ কাটতে বলেছি সে মোতাবেক কামাল গাছ কেটেছেন, দফাদার কামাল হোসেন কে এব্যাপরে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি সাংবাদিকদের জানান যে,আমি স্হানীয় লোকজনের কথা মতো তাদের উপকার করার স্বার্থে গাছ দুটি কেটেছি যাহার মুল্য পাচ হাজার টাকা এই টাকার সত্যতা স্হানীয় লোকজন ও জনিছেন, কামাল হোসেন আরো বলেন যে,প্রথমিক পর্যায়ে আমি ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে জানালেও পরবর্তিতে এলাকার বাহিরে থাকা এক প্রভাবশালীর হুমকিতে ও টেলি ফোনে তাকে বলায় তিনি তার কথা মতো আমাকে ফাসানের জন্য মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন প্রতিবেন ইএনও সাহেবের কাছে জমা দেন। সাংবাদিকরা তহশিলদার সাইফুল ইসলামের কাছে প্রশ্ন করে জানতে চান স্হানীয়রা এবং গাছ ক্রেতারা সবাই বলছে গাছের দাম মাত্র ৫ হাজার টাকা আপনি কেন ৩৮ হাজার টাকার প্রতিবেন জমা দিলেন তখন সে প্রশ্নের উত্তর দেন যে,আমি যাহা শুনেছি সে মোতাবেক প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।দফাদার কামাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান যে তহশিলদার আমার কাছে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ দাবি করেছিলেন আমি তাহা দিতে অস্বীকার করি বিধায় মিথ্যা প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করিয়েছেন।এ ব্যাপারে স্হানীয় লোকজন ও ভুক্তভুগী কামাল হোসেন সাময়িক বরখাস্ত প্রত্যাহারসহ তহশিলদার সাইফুল কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন এবং গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
Leave a Reply