কাশিয়ানীতে পুকুরে বিষ দিয়ে প্রায় ৪০ মণ মাছ নিধনের অভিযোগ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়নের একটি মৎস্য প্রজেক্টর পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে আড়াই থেকে ৩ লক্ষ টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর ) সকালে নিজামকান্দি ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর এলাকার মৎস্যচাষি লিটন মোল্লার প্রজেক্টের ভিতরের একটি পুকুরে মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মৎস্যচাষী লিটন মোল্লা নিজ বাড়ির পার্শ্ববর্তী প্রায় ১৬ বিঘা জমিতে মাছের খামার গড়ে তুলেছেন।
রোববার রাতের কোনো এক সময় তার কমপক্ষে ৮০ শতকের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে দুর্বৃত্তরা। সোমবার সকালে পুকুরপাড়ে গিয়ে মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখে হতবাক হয়ে যান প্রজেক্ট এর ম্যানেজার তুরান শিকদার।
এতে পুকুরটিতে চাষ করা তেলাপিয়া, কার্ফু, গ্লাস কার্প, সরপুঁটি, কাতল, রুই, ব্রিগেড, সিলভার কার্প, সরপুঁটি সহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ মণ মাছ মারা গেছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য কমপক্ষে আড়াই থেকে ৩ লক্ষ টাকা।।
ভুক্তভোগী লিটন মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বাড়ির পার্শ্ববর্তী জমিতে গত দুই বছর অনেক কষ্ট করে একটি মৎস্য প্রজেক্ট গড়ে তুলি। পুকুরে মাছ চাষ করেই সংসারটা চালাচ্ছি। কিন্তু এখানে মাছের ঘের করার পর থেকে কিছু দুষ্কৃতিকারী লোকজন বিভিন্নভাবে আমার ক্ষতি করে আসছে। গেলো রাতে তারা আমার পুকুরে বিষ দিয়েছে।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে লিটন বলেন, ‘আমার পুকুরে থাকা প্রায় ৩৫-৪০ মণ মাছ মারা গেছে। লোন করে ঋণের টাকা নিয়ে মাছ চাষ করেছি। এখন আমার কী হবে। তারা আমাকে রাস্তায় নামিয়ে দিলো।
প্রতিবেশী মোঃ হাবিবুর রহমান শেখ বলেন বলেন, লিটন মাছ চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। কে বা কারা রাতের আঁধারে তার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে। তার পুকুরে থাকা প্রায় সব মাছই মারা গেছে। এখানে কাজ করে কয়েকটি পরিবার সংসার চালায়। যারা এ কাজ করেছে আমাদের গ্রামের পক্ষ থেকে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ওই মৎস্য চাষীর পুকুরে কে বা কারা বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলেছে। আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাশিয়ানী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি জানি না এবং কেউ আমাকে জানায়নি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।।
Leave a Reply