গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠি ইউনিয়নের কাঠি, খানারপাড় তেলিগাতী হাজী নেহালউদ্দিন চৌধুরি ইনস্টিটিউশনে চলছে বিদ্যালয়টি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অর্থের বিনিময়ে শিক্ষা বিক্রি করা কিছু শিক্ষকদের ইশারায়। বিদ্যালয়ের ক্লাসরুম দখল করে কোচিং বা প্রাইভেট সেন্টার খুলে বসেছে কিছু প্রভাবশালী শিক্ষকরা। কোচিং চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা আসলে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না, বাধ্য হয়ে তারা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। জানা যায় বিদ্যালয়টির সার্বিক পরিচালনা সহ সকলকে হুমকী-ধমকি ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে চাপিয়ে রাখে ওখানকার কর্মরত কেরানি মশিউর।
এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার (১৪ জুলাই) সকাল ৯ টায় বিদ্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের একটি টিম সরেজমিনে ওই বিদ্যালয়ে হাজির হলে দেখতে পায় বিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি কক্ষে শিক্ষকগণ ব্যক্তিগত ভাবে কোচিং করাচ্ছেন। আর বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন বিদ্যালয়ের আসা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা। এসময়ের ভিডিও চিত্র ধারণ করা আছে। নাম না জানাতে ইচ্ছুক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীর কয়েকজন অভিভাবকরা জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করেন। সরকারের বিধি না মেনে ক্লাশ রুমে ঠিকমতো শিক্ষাদান না করে বিদ্যালয়ে টাকার বিনিময়ে কোচিং সেন্টার খুলে বসেছে। বিদ্যালয়ের কারেন্ট বিল দিতে হয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তা আবার ছাত্র-ছাত্রীর দেওয়া ফান্ড ও সরকারি অনুদান থেকে। তার যে বিল ব্যবহার করছে পুরোটাই ফ্রি, আমরা ভয়ে কিছু বলি না কারণ আমাদের ছেলে-মেয়েরা পড়ালেখা করে।
মশিউর সাহেবের কাছে মুঠোফোনে তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি উল্টো সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে বলে বেশি বাড়বেন না চেপে জান নইলে ঝামেলা আছে। সে বলে আমরা আপনার চাকরি করি না যে পরিচয় দিতে হবে। পরে জানতে পারলাম মশিউর বিদ্যালয়ে কেরানীর দায়িত্বে আছেন । কেরানীদের কথাবার্তা ও অচারণ এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে এই সকল ব্যক্তিদের বিদ্যালয়ের চাকুরিতে না থাকাই শ্রেয়।
ব্যাপারটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীলিপ কুমার পালের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি শিক্ষকদের নিষেধ করেছি কোন কোচিং বা প্রাইভেট পড়ানো যাবেনা, প্রাইভেট পড়াতে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে, তিনি আরো বলেন আমাদের বিদ্যালয়ের সভাপতি নাজমুল মোল্লা (লালমিয়া সিটি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল) এর অনুমতিতে শিক্ষকরা প্রাইভেট পড়াচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতির নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমে না জানার ভান করে ব্যপারটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে আমি কিছুই জানি না। তবে আপনারা বলেছেন ব্যপারটি আমি দেখছি। পরের দিন তাকে ফোন করে উক্ত বিষয়ে কি সমাধান করেছেন তা জানতে চাইলে তিনি বলেন আপনি আমার কাছে মিথ্যা বলেছেন ওরা আমার কথা বলে নাই। আপনি কিসের সাংবাদিক। তাই বলে ফোন কেটে দেন। সভাপতি নাজমুল মোল্লার অনুমতিতে বিদ্যালয়ের কক্ষে প্রাইভেট বা কোচিং করাচ্ছে শিক্ষকরা, ওখান খেকে বড় রকমের ভাগা খায় সে। এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ওই স্কুলের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ও তাদের অভিভাবকেরা।
Leave a Reply