আজ ২৩ জুন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্ব দানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের
৭২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে এই রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পরবর্তী সময়ে এ দলটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এদেশের গণমানুষের দলে পরিণত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ এ দল একটানা এক যুগেরও বেশী সময় রাষ্ট্র পরিচালনা করে দেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছে। পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, কর্ণফুলী টানেল, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ আত্মমর্যাদাশীল এক রাষ্ট্র। ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণসহ তথ্য প্রযুক্তি খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ সফল ভাবে উৎক্ষেপণ ও মালিকানা অর্জনের মধ্য দিয়ে জল-স্থল- মহায়কাশকে জয় করে বাংলাদেশ যখন উন্নয়ন ও অগ্রগতির রোল মডেল – এমন একটি সময়ে বাংলাদেশের বৃহত্তম ও প্রাচীনতম দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর অন্যতম বিশ্বস্ত সহচর, সৎ ও স্বচ্ছ রাজনীতির ধারক ও বাহক জননেতা মুহাম্মদ ফারুক খান এমপির ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমরাও এসকল অর্জনের গর্বিত অংশীদার। আর তাই এই শুভক্ষণে মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীসহ সকলকে জননেতা মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি ও মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, স্মরণ করছি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক সামসুল হকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে, শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদগণ, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতার শহীদ পরিবার এবং সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আওয়ামী লীগের শহীদ নেতাকর্মীদের, যাঁদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। আমি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করার পরে একাধিক স্বৈরশাসনের সময়ে এবং ওয়ান-ইলেভেনের দুঃসময়েও যাঁরা নীতি- আদর্শে অটল থেকে আমার প্রানের সংগঠনকে টিকিয়ে রেখে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করেছেন। আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি আমাদের প্রিয় নেতা মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি ভাইসহ সেসব নেতাকর্মীদের, যাঁরা জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
প্রিয় সহকর্মীবৃন্দ, সাত দশকের লড়াই সংগ্রামের অভিযাত্রায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক অধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নিরন্তর সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে এবং বর্তমানে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সংগ্রামের সারথী। যাঁর সুযোগ্য নেতৃত্ব ও সুদক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনার কারণে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ, ডিজিটাল/তথ্য প্রযুক্তির দেশ আর স্যাটেলাইট ক্লাবভুক্ত মর্যাদাশীল বাংলাদেশ। একটানা তিনবারসহ সর্বমোট চারবার এ দলটি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার কারণেই এসকল অর্জন সম্ভব হয়েছে। আর সব অর্জনের পেছনেই রয়েছে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের অবদান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, উন্নত-সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। জননেত্রীর এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে দলের কর্মী হিসেবে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে যেতে হবে।
প্রিয় সহকর্মীবন্ধুগণ, ৭২ বছরের ঐতিহ্যবাহী উপমহাদেশের অন্যতম দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের স্বাধীনতাসহ সকল অর্জনের পেছনে গণমানুষের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের শ্রম, ত্যাগ ও রক্তমাখা ইতিহাস রয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ এ দল টানা এক যুগেরও বেশী রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে। এ উপমহাদেশের যেকোনো দলই দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে নেতা ও কর্মীদের মাঝে দুরত্ব বাড়ে। কারণ দল ক্ষমতায় থাকলে পাওয়া- না পাওয়া, মূল্যায়ন- অবমূল্যায়ন, মান-অভিমান ইত্যাদি থাকা অস্বাভাবিক নয়। গণমানুষের দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে তেমনটা প্রত্যাশা করিনা। আর তাই দলের ৭২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে দুরত্ব কমিয়ে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করার অঙ্গীকার করা উচিত। সমগ্র বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আমরা ঐক্যবদ্ধ করতে না পারলেও আমাদের সকলের প্রিয় নেতা মুহাম্মদ ফারুক খান এমপির নেতৃত্বে মুকসুদপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ঐক্যদ্ধ হওয়ার শপথ নিতে পারি। তাই আসুন আজকের এইদিনে আমরা মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী প্রিয় নেতা ফারুক খান এমপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার শপথ গ্রহণ করি এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা ও ফারুক খানের হাতকে শক্তিশালী করি। কারণ
ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগই জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নকে সহজতর করবে।
আওয়ামী লীগের অর্জিত সাফল্যের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বাস করে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে- সে প্রত্যাশা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
(মোঃ রবিউল আলম সিকদার)
সাধারণ সম্পাদক,
মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ।
গোপালগঞ্জ।
Leave a Reply