1. modhumotikanthobd@gmail.com : Shohidul Islam : Shohidul Islam
  2. modhumotikantho@gmail.com : support : Shohidul Islam
বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মাদারীপুরে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানববন্ধন গোপালগঞ্জে সদর থানায় নবাগত অফিসার ইনচার্জ হিসেবে মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমানের যোগদান নগরকান্দায় নবাগত থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় ফরিদগঞ্জ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্তৃক আয়োজিত কাওয়ালী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা গোপালগঞ্জে দুর্নীতি মুক্ত আদর্শ সমাজ গড়তে সকলের সহযোগিতা চাইলেন নবাগত ডিসি মুহম্মদ কামরুজ্জামান ফরিদগঞ্জে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন ফরিদগঞ্জে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ১৭ তম কারা মুক্তি দিবস উপলক্ষ্যে বিরাট জনসভা গোপালগঞ্জে দুর্নীতি মুক্ত আদর্শ সমাজ গড়তে সকলের সহযোগিতা চাইলেন নবাগত ডিসি মুহম্মদ কামরুজ্জামান গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতির ওপর সন্ত্রাসী হামলা গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতির ওপর সন্ত্রাসী হামলা

কচুয়ায় নৌকার কারিগরদের দুর্দিন, হারাচ্ছে ঐতিহ্য

  • Update Time : শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪
  • ৭২ Time View

চাঁদপুর প্রতিনিধি: দোয়াটি গ্রাম। এক সময় এ গ্রামে প্রবেশ করলেই প্রত্যেক বাড়ি থেকে ঠকঠক শব্দ ভেসে আসতো। কাঠে হাতুড়ি দিয়ে পেরেক মেরে নৌকা তৈরির শব্দ শোনা যেত পুরো গ্রামজুড়ে। আজকাল সেই শব্দ আর কানে আসেনা। সেই শব্দ খুঁজে পেতে হলে পুরো গ্রাম ঘুরে যেতে হবে দুই-তিনটে পরিবারের কাছে। এক সময় বর্ষার শুরুতে চাঁদপুরের কচুয়ায় নৌকা কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করত। কালের বির্বতনে হারিয়ে যেতে বসেছে নৌকা। বাপ-দাদাদের ঐতিহ্য এ পেশাকে ধরে রেখেছে কয়েকটি পরিবার এখনো নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন তারা। এদিকে নৌকা কারিগরদের পেশা এখন হারিয়ে যওয়ার পথে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কচুয়া উপজেলার মাছিমপুর,সাচার ও দোয়াটি গ্রামে এখনো তৈরি হয় নৌকা। কালের বির্বতনে এবার হারিয়ে যেতে বসেছে এ শিল্পটি। নৌকা তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি ও আর্থিক অনটনের ফলে এ শিল্পের কারিগররা এখন পেশা ছেড়ে দিচ্ছে। ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে নৌকা শিল্প। বর্তমানে দোয়াটি গ্রামের ৩টি পরিবারের ৮ জন এ পেশায় জড়িত। শত অভাব-অনটনের মধ্যেও তারা ঐতিহ্যবাহী পেশাটি এখনও আকঁড়ে ধরে আছে। বাকী কারিগররা এখন পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় নিজেদের নিয়োজিত করেছে।
দোয়াটি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা উমেশ চন্দ্র সরকার, অবনী চন্দ্র ও হরি সরকার জানান, এক সময় বিয়ে-শাদিতে এক গ্রামের বরযাত্রী অন্য গ্রামে সারি সারি নৌকা সাজিয়ে নিয়ে যেত। গ্রামগুলোর প্রত্যেক ঘরেই ২-৩টি করে নৌকা ছিল। স্কুল-কলেজ, হাটবাজার, মাল আনা-নেওয়ার কাজে এসব নৌকা ব্যবহার করা হত। গত কয়েক বছর ধরে এ দৃশ্য আর দেখা যায় না। এলাকায় রাস্তাঘাট নির্মাণ হয়েছে। তাই নৌকার ব্যবহার কিছুটা কমছে। তাছাড়া আর্থিক দুরাবস্থা এবং নৌকা তৈরির উপকরণের মূল্য দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় কারিগররা তাদের প্রাচীন এ পেশা ছেড়ে দিচ্ছে।
নৌকা কারিগর রমনী চন্দ্র সরকার ও নজুল সরকার জানান, আমারা আমাদের বাবার কাছ থেকে নৌকা তৈরি করতে শিখেছি। ৩০ বছর ধরে এ পেশার সঙ্গে জড়িত আছি। জানিনা আর কয়দিন থাকব। যেভাবে কাঠ-যন্ত্রপাতির দাম বাড়ছে তাতে নৌকা তৈরি করে লাভ হচ্ছে না। এ গ্রামে ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের নৌকা তৈরি হয়। ৮ হাত, ৯ হাত, ১০ হাত আকারের নৌকা তৈরি হয়। বিলুপ্ত হতে যাওয়া এ পেশাটি রক্ষার দাবি তাদের। তবে এ পেশার অবস্থা এখন খুবই নাজুক। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য নৌকা শিল্পটিকে বাঁচানো দরকার। সরকার চাইলে হয়ত আমরা টিকে থাকব। এ পেশাটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য সরকারের উচিত আমাদের ঋণের ব্যবস্থা করা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021
Design & Developed By : Modhumoti Kantho