গোপালগঞ্জে আ.লীগের খোলস পাল্টে আলিমুজ্জামান পিটু এখন বিএনপির নেতা
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ছিলেন আওয়ামী লীগের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কমিটির সদস্য। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এখন তিনি ইউনিয়ন বিএনপির জয়েন্ট সেক্রেটারী পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। সম্প্রতি এমন ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে আলোচনা- সমালোচনার ঝড়। আলোচিত ওই ব্যক্তির নাম আলিমুজ্জামান পিটু মোল্লা। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার শুকতাইল ইউনিয়নে। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পিটু মোল্লা। সে সদর উপজেলার শুকতাইল ইউনিয়নের বাসিন্দা।
বিগত সরকারের আমলে গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের সাথে সখ্যতা করে গড়েছেন অঢেল টাকার সাম্রাজ্য। অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কার্যক্রমে। নৌকা প্রতীকে চেয়েছেন ভোটও। নিজের এলাকায় দাঁপিয়ে বেড়াতেন আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ে। বিভিন্ন ছবিতে দেখা গেছে গোপালগঞ্জ-২ আসনের এমপির সাথে ঘনিষ্ঠতা।
এছাড়াও গোপালগঞ্জ জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সাথে বেশ কিছু ছবি তার নিজের ফেসবুক একাউন্টে দেখা গেছে। আওয়ামী. লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার অংশ নেওয়ার ছবিও রীতিমতো ভাইরাল। কমেন্টেসে বিভিন্ন ফেসবুক ব্যবহারকারী নানান মন্তব্য করেছেন।
অভিযোগ আছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে কামিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। সরেজমিনে শুকতাইল ইউনিয়নে গেলে দেখা যায়, পিটু মোল্লার নিজস্ব একটি বিএনপি অফিস আছে। সেখানে বসেই তিনি নিজের অবৈধ ড্রেজার ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। বিভিন্ন সময় এলাকার সালিশ বিচারও তিনি করেন ওই অফিসে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, পিটু মোল্লাকে আমরা আওয়ামী লীগের বড় নেতা হিসেবেই জানতাম। আমাদের এমপি সাহেবের সাথে অনেক ছবি তার অফিসে ছিলো। আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে বালু ব্যবসা করেছে এখানে। সরকার পতনের সাথে সাথে সে এখন বিএনপির বড় নেতা হয়ে গেছে। নতুন করে আবার প্রভাব খাটানো শুরু করছে।
তবে এবিষয়ে আলিমুজ্জামান পিটু মোল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কখনোই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি নাই। বিএনপি ক্ষমতায় না থাকায় আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলেছি ব্যবসা বানিজ্য করার জন্য। শুকতাইল ইউনিয়ন বিএনপির জয়েন্ট সেক্রেটারী পরিচয় দিয়ে বলেন, সবসময়ই আমি বিএনপি’র রাজনীতি করেছি। এখনও জয়েন্ট সেক্রেটারীর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করা হলে পিটু মোল্লা নামে বিএনপি কিংবা অঙ্গ সংগঠনের সাথে জড়িত কোন নেতা নেই বলে জানানো হয়েছে।
Leave a Reply