1. modhumotikanthobd@gmail.com : Shohidul Islam : Shohidul Islam
  2. modhumotikantho@gmail.com : support : Shohidul Islam
রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
​গোপালগঞ্জে গণফোরামের ৩১ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা মুকসুদপুরে মহারাজপুর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকদলের কর্মিসভা ‎“যে মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে, তা এখনো চূড়ান্ত নয়” —আলহাজ্ব এম.এ.হান্নান ‎ কোটালীপাড়ায় জনস্বার্থে প্রশাসনের অভিযানে অবৈধভাবে নির্মিত বাঁধ অপসারণ কয়ায় জনমনে স্বস্তি ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারই আমাদের মূল লক্ষ্য – সেলিমুজ্জামান সেলিম মুকসুদপুরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ মুকসুদপুরে বিএনপি নেতা সেলিমুজ্জামান সেলিমকে হাজারো মানুষের উষ্ণ অভ্যর্থনা মা-বাবার কবর জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচার শুরু সেলিমুজ্জামানের সাকিবুর রহমান দ্বিপু ঃ গোপালগঞ্জ রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটে নতুন যুব কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদন গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দাওরায়ে হাদীস পরীক্ষায় মুমতাজ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান

গোপালগঞ্জে কারফিউ শিথিল থাকলেও বন্ধ ছিলো বেশিরভাগ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, জনমনে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে

  • Update Time : রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫
  • ১২৪ Time View

গোপালগঞ্জে কারফিউ শিথিল থাকলেও বন্ধ ছিলো বেশিরভাগ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, জনমনে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

গোপালগঞ্জে গত ১৬ জুলাই অনুষ্ঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে হামলা, সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনার পর গোপালগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে জারি করা কারফিউ শনিবার (১৯ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১৪ ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়েছে। কারফিউ শিথিল হলেও জনমনে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজনেও ঘর থেকে বের হচ্ছেন না অনেকে। শহরের বেশিরভাগ দোকান বন্ধ রয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। লঞ্চঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় কিছু যানবাহন দাঁড়িয়ে আছে। তবে যাত্রী খুব একটা নেই। কিছু মানুষ এদিক-সেদিক যাচ্ছেন। লঞ্চঘাট এলাকায় দু-একটি দোকান ছাড়া বাকি দোকানগুলো বন্ধ দেখা গেছে। শহরের বড়বাজার, চৌরঙ্গী, বটতলা, কালিবাড়ী, বিসিক শিল্পনগরী সহ থানাপাড়া এলাকায়ও একই চিত্র দেখা গেছে। জরুরি প্রয়োজনে কিছু মানুষ আর কিছু দিনমজুর ঘর থেকে বের হয়েছেন। এর মধ্যে দিনমজুরের সংখ্যাই বেশি।

জেলা শহরের বড়বাজার এলাকায় বাজার করতে আসা এক গৃহিণীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ৩ দিন পর অনেকটা নিরুপায় হয়েই আজ বাজার করতে এসেছেন তিনি, দোকানপাট খুব একটা খোলা নেই, বাজার করেছেন, পণ্যের সরবরাহ কম থাকায় তুলনামূলক ভাবে দাম কিছুটা বেশি তবুও কিনে নিয়েছি, যদি আবার কারফিউম শুরু হয় তাহলে তো সমস্যায় পড়বো।

বিসিক শিল্পনগরী এলাকার স্বনামধন্য ভাই ভাই বেকারির ম্যানেজারের সাথে কথা হলে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, কারফিউ তুলে নিয়েছে ভেবে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে আমাদের কর্মচারী হাসিব চৌধুরী (১৬), শামীম শেখ (২০), কালীন শেখ (১৬), সাহেবুল শেখ (১৮) কাজ শেষ করে বেকারির ১০ গজ দূরে বিসিক শিল্পনগরী মসজিদের সামনে বসে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলো এর মধ্যেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে গাড়িতে তুলে নেন। খবর পেয়ে তাদেরকে বুঝিয়ে বললেও কোন লাভ হয়নি পরবর্তীতে সদর থানায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং প্রমাণাদি নিয়ে গেলেও তাদেরকে না ছেড়ে কোর্টে চালান করে দেয়। শ্রমিকেরা খুবই নিরীহ, পেটের দায়ে তারা পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে এখানে কাজ করতে এসেছে। তাদের পরিবারের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। কি একটা সমস্যায় পড়লো চারটা পরিবার যা খুবই দুঃখজনক। প্রকৃত দোষীদেরকে আইনের আওতায় নিক আমরাও সেটা চাই কিন্তু নিরীহ লোকজন ধরে হয়রানি তা কারোরই কাম্য নয়।

প্রবীণ এক ব্যক্তির সাথে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, কারফিউ নেই শহরে লোকজনের আনাগোনা একদমই নেই। বাজার করেছি, তবে ভেতরে ভেতরে আতঙ্ক বিরাজ করছে কখন কি হয়।

এক অটোবাইকের চালক বলেন, গত তিন দিন ধরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গাড়ি বের করতে পারি নাই। কিস্তি ও সংসারের ব্যয় মেটাতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই শহরে আজ গাড়ি নিয়ে। বেরিয়েছে। এসে জানলাম আজ কারফিউ নেই, ভেবেছিলাম তাহলে কিছু ইনকাম হবে কিন্তু শহরে লোকজন খুব একটা না থাকায় তেমন কোন ইনকামও নেই। কারফিউ চলাতে আমাদের মত খেটে খাওয়া গরিব মানুষদের খুব কষ্ট হচ্ছে।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত একাধিক মামলায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতারকৃতদেরকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তা স্পষ্ট না করায় পরিবার ও স্বজনদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের দাবি প্রকৃত দোষীদেরকে আইনের আওতায় নেওয়া হোক। কিন্তু অসহায় ও সাধারণ মানুষকে যেন কোনভাবে হয়রানি না করা হয়।

এদিকে জেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমস্ত জেলা জুড়ে বিশেষ বিশেষ স্থানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। গোপালগঞ্জ শহরতলীর বিভিন্ন পয়েন্টেও নিয়োজিত রয়েছেন বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা। শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় মোতায়েন রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেখানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ড. রুহুল আমিন সরকার। তার সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। কারফিউ নেই, যার কারণে সাধারণ মানুষ অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন। আমরা অভিযানও পরিচালনা করছি। তবে অভিযানে নিরপরাধ কেউ যেন আটক না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রেখে কাজ করছি।

এদিকে গোপালগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে শনিবার (১৯ জুলাই) রাত ৮ টা থেকে আগামীকাল রোববার (২০ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত কার ভিউ বলব থাকবে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021
Design & Developed By : Modhumoti Kantho