ফরিদগঞ্জে কহিনুর বেগমের মৃত্যু নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মিথ্যাচার
বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবার দায়িত্বহীনতা ও জবাবদিহির অভাব আবারও সামনে
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ডায়াবেটিক সেন্টার ও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কহিনুর বেগম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু ঘিরে দেখা দিয়েছে তীব্র বিতর্ক। অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের অবহেলা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মিথ্যাচারের। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত হয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মান ও জবাবদিহি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
ঘটনার সূত্রপাত
গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাতে কহিনুর বেগম অসুস্থ হয়ে পড়লে তার ছেলে স্বপন ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত চিকিৎসক ডা. হুমায়ুনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। সেই অনুযায়ী কহিনুর বেগমকে সরাসরি ফরিদগঞ্জ ডায়াবেটিক সেন্টার ও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে পরদিন সকালেই ওই হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল মালিকের বিতর্কিত বক্তব্য
রোগীর মৃত্যুর পর হাসপাতালের অন্যতম মালিক ডা. সাদেকুর রহমান গণমাধ্যমে দাবি করেন—
রোগীকে প্রথমে অন্য একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
সেখান থেকে ঢাকায় রেফার করার পরও স্বজনরা তাকে আবার ডায়াবেটিক হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
এমনকি মৃত্যুর পেছনে “ভিন্ন উদ্দেশ্য” থাকতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
এই বক্তব্য প্রকাশ হওয়ার পরপরই স্বজনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
স্বজনদের পাল্টা অভিযোগ
কহিনুর বেগমের ছেলে স্বপন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“এটা মিথ্যাচার ছাড়া কিছু নয়। ডায়াবেটিক ছাড়া আমরা আর কোথাও মাকে নেইনি। যদি অন্য হাসপাতালে নিতাম, তবে অবশ্যই সেখানে রেকর্ড থাকত।”
চিকিৎসকের মন্তব্য
চিকিৎসক ডা. হুমায়ুন, যিনি প্রথমে রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন, তিনিও জানান—
“রোগী অন্য কোনো হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কিনা সে বিষয়ে আমার কোনো তথ্য নেই।”
এ বক্তব্য হাসপাতাল মালিকের দাবিকে আরও প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে।
সত্যতা যাচাইয়ের প্রচেষ্টা
বিতর্কিত বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করতে সাংবাদিকরা ফরিদগঞ্জের আরেক বেসরকারি হাসপাতাল লাইফ জেনারেল-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
সেখানে মার্কেটিং ও অ্যাডমিন বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক সোহেল মাহমুদ বলেন,
“আমাদের সফটওয়্যারভিত্তিক সিস্টেমে প্রতিটি ভর্তি রোগীর রেকর্ড থাকে। যাচাই করে দেখেছি, কহিনুর বেগম নামে গত কয়েকদিনে
Leave a Reply