মুকসুদপুরে রেজাউল করিম নামে এক ভূয়া ডাক্তার কে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা ও তিন মাসের জেল প্রদান করেন ভ্রম্যমান আদালত
মোঃমুঈনুল ইসলাম শুভঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার আদমপুর বাজারে রেজাউল করিম নামে এক প্রতারক দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তার না হয়েও ডাক্তার পরিচয় দিয়ে প্রেসক্রিপশন করা,জটিল রোগের চিকিৎসা প্রদান এমন কি অস্ত্রোপচার করে আসছিলেন।তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে অনেক ভুক্তভোগী মাতৃমৃত্যু, অঙ্গহানি,প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত পরিমানে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার,রোগীর অর্থ অপচয় সহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন।কিন্তু পর্যাপ্ত তথ্য প্রমান এর অভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেয়া সম্ভব হচ্ছিল না।ইতোপূর্বে একাধিকবার চেস্টা করেও তাকে না পাওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা সম্ভব হয় নি।আজ ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ০৯:৩০ মিনিটে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.রায়হান ইসলাম শোভন, গোপালগঞ্জ জেলার ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার আহমেদ এবং গোপালগঞ্জ জেলার ড্রাগ সুপার বিথী রানী মন্ডল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আকস্মিক একটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।এসময়ে প্রতারক রেজাউল করিম কে হাতে নাতে রোগী দেখা অবস্হায় ধরা সম্ভব হয়।দেখা যায় তিনি চিকিৎসক না হয়েও এমন কি যথাযথ প্যারামেডিকেল ট্রেনিং না থাকার পরেও নামের আগে ডাক্তার লিখে প্রেসক্রিপশন প্যাড ব্যবহার করছেন,এন্টিবায়োটিক ওষুধ লিখছেন।এমনকি তার টিনের দোকানের মারাত্মক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রোগী ভর্তি রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন।তিনি ড্রাগ লাইসেন্স এবং ফার্মাসিস্ট লাইসেন্স ছাড়া ওষুধের দোকান পরিচালনা করছিলেন।তার দোকানে বিপুল পরিমান মেয়াদোত্তীর্ন ওষুধ বিক্রয়াধীন সেলফে পাওয়া যায়।ভ্রাম্যমান আদালত তাকে সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধারায় মোট ৩ মাসের জেল এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। তার দোকান পরবর্তি নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।উল্লেখ্য আদমপুর গ্রামের একাধিক ভুক্তভোগী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারীরা আজ ঘটনাস্হলে অত্র এলাকার সাধারন জনগনের ব্যাপক বাধার মুখে পড়ে।
Leave a Reply