বিএনপি ক্ষমতা আসলে ৩১ দফার ভিত্তিতে জনগণের আশা-আকাংঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করব- সেলিমুজ্জামান
আশিকুর রহমান মুন্সি ঃ
গোপালগঞ্জ-০১ (কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তার নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ ও ভোট প্রার্থনা শুরু করেছেন।
আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় তার নির্বাচনী এলাকার মুকসুদপুরের পশারগাতি ইউনিয়নের ২ নং ও ৩নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও ধানের শীষের পক্ষে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে ভোট প্রার্থনা ও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছেন।
এ সময় তিনি আইব বাজার, কৃষ্ণাদিয়া বাজার, জানবাগ বাজার এলাকাসহ বিভিন্ন বাজারের পথচারী ও উপস্থিত লোকজনের সাথে কুশল বিনিময় এবং লিফলেট বিতরণ করে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন।
গণসংযোগ করার সময় তিনি নানা শ্রেনী-পেশার লোকের সাথে কথা বলেছেন। এ সময় তিনি বলেন, আমাকে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার পর থেকেই এলাকার জনগণের মধ্যে ধানের শীষের পক্ষে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী আসন্ন নির্বাচনে জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীকে মূল্যবান ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাবেন। আমরাও ঘোষণা দিয়েছি নির্বাচিত হলে ৩১ দফার ভিত্তিতে জনগণের আশা-আকাংঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করব ইনশাল্লাহ এবং তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমার ওপর যে আস্থা রেখেছেন, আমি সেই আস্থার মর্যাদা রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
তিনি আরও বলেন, আশা করি, বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা একযোগে কাজ করে ধানের শীষকে বিজয়ী করবেন। গোপালগঞ্জ-১ আসনের সাধারণ মানুষের সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করলে দেশনেত্রী ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের হাত শক্তিশালী হবে, এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।
সেলিমুজ্জামান সেলিম আরও বলেন, একটি সরকারের পতন হয়েছে, আগামী দিনে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। এজন্য প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে পূর্বের থেকে শিক্ষা নিয়ে একটি সুন্দর-নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। এবার পক্ষপাতিত্ব হওয়ার কোনো সুযোগ নেই এবং এবার আপনার ভোট আপনি দিবেন, অন্য কারও দেওয়ার সুযোগ নেই।
গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুস ছালাম খান, সাধারণ সম্পাদক তারেকুল ইসলাম রাজু, সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান লিপু, পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার টুলটু বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মিন্টু, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা মাহামুদুল হাসান বাপ্পী, বিএনপি নেতা সোয়েবুর রহমান সালমিন মিয়া, উপজেলা বিএনপির
সহসভাপতি সিনিয়র সহসভাপতি সোহরাব হোসেন, সহ-সভাপতি ফিরোজ মৃধা,
সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহিন মুন্সী, যুগ্ম সম্পাদক জুবায়ের আল মামুন, কোষাধ্যক্ষ আশফাকুল আলম পলু,
সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সাহিদুল ইসলাম সাহিদ, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম শরীফ, বিএনপি নেতা দেলোয়ার মোল্লা, পৌর মহিলাদলের আহবায়ক নিশাত জাহান, মহিলা নেত্রী মুক্তা খানম,
উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহফুজ হাসান, যুগ্ম আহবায়ক কামরুজ্জামান স্বপন, যুবদল নেতা হিমেল খন্দকার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মেহেদী হাসান বিপ্লব, সদস্য সচিব আব্দুল কাইয়ুম মুন্সী, যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা গাজী, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রহমান রইন, সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের মাতুব্বর, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আশিক মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক শাকিল শরীফ, সাংগঠনিক সম্পাদক অন্তর বিশ্বাস, সরকারি মুকসুদপুর কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক মহাসিন মোল্যাসহ আরও অনেকে।
#
Leave a Reply