1. modhumotikanthobd@gmail.com : Shohidul Islam : Shohidul Islam
  2. modhumotikantho@gmail.com : support : Shohidul Islam
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি গোপালগঞ্জ শাখা’র উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ  সংস্কার না হলে হাসিনা মার্কা নির্বাচন আবারও হবে – জামায়াত সেক্রেটারী গোলাম পরোয়ার মুকসুদপুরে ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন গোপালগঞ্জে পোস্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি-আ.লীগের সংঘর্ষ – আহত ৫০ গোপালগঞ্জে পোস্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি-আ.লীগের সংঘর্ষ – আহত ৫০ মুকসুদপুরে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিমের কম্বল বিতরন কৃষির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে গোপালঞ্জে কৃষি সম্মেলন অনুষ্ঠিত  কৃষির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে গোপালঞ্জে কৃষি সম্মেলন অনুষ্ঠিত  দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মাদারীপুরে সচিবকে মারধর করলো আওয়ামীলীগের ইউপি চেয়ারম্যান

দালালের মাধ্যমে লিবিয়ায় গিয়ে ৩ মাস নিখোঁজ মিরাজুল শেখ, মুক্তিপণের টাকা দিয়ে সর্বশান্ত পরিবার, ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৮৩ Time View

দালালের মাধ্যমে লিবিয়ায় গিয়ে ৩ মাস নিখোঁজ মিরাজুল শেখ, মুক্তিপণের টাকা দিয়ে সর্বশান্ত পরিবার, ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

কে এম সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জঃ

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের মুনিরকান্দি গ্রামের শাজাহান শেখের ছেলে মিরাজুল শেখ (২৪) দালালের খপ্পরে পরে লিবিয়ায় গিয়ে প্রায় ৩ মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। শুধু মিরাজুল শেখ নয় একাধিক পরিবারের সন্তানকে ইতালি পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়াতে আটকে রেখে কোটি টাকার ওপরে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ গোহালা গ্রামের আবুল কালাম আজাদ, মোল্লাদি গ্রামের গিয়াস উদ্দিন মোল্লার ছেলে রুহুল আমিন মোল্লা’সহ তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।

এঘটনায় আবুল কালাম আজাদ ও রুহুল আমিন মোল্লার বিরুদ্ধে নিখোঁজ মিরাজুল শেখের পিতা শাজাহান শেখ নিজে বাদী হয়ে মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ০৬ তারিখ -০৩/০২/২৪ ইং ধারা- ৭/৮/১০ মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২। এর আগে মুকসুদপুর উপজেলার সিন্ধিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে ভুক্তভোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করলে আবুল কালাম আজাদের সহযোগী রুহুল আমিন মোল্লাকে ফাঁড়িতে ডেকে নাম মাত্র সালিস করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে তাকে ছেড়ে দেয় ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) এসআই শওকত হোসেন।

নিখোঁজ মিরাজুল শেখের মা রেবেকা বেগম বলেন, আমার ছেলে মিরাজুলকে ইতালি নেওয়ার কথা বলে আবুল কালাম আজাদ ও রুহুল আমিন মোল্লা আমাদের নিকট থেকে ১২ লক্ষ টাকা নেয়। পরে মিরাজুলকে মাফিয়াদের দিয়ে ধরিয়ে আরও ৭ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ আদায় বাবদ ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে নেয়। মাফিয়াদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়ার পর আমার ছেলে তিন মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছে। আমার ছেলে বেঁচে আছে? নাকি মারা গেছে? সে খবরও আমরা পাচ্ছিনা। তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করলেও তারা কিছুই বলে না। আমি আমার ছেলেকে জীবিত ফেরৎ পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

নিখোঁজ মিরাজুলের বোন খাদিজা আক্তার বলেন, আমার ভাইকে লিবিয়া নিয়ে মাফিয়াদের কাছে তুলে দিয়ে তাকে মারপিট করে আমাদের কাছে সেই নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে টাকা দাবি করে। ভাইকে বাঁচানোর জন্য আমার বাপের জমি জমা বিক্রি ও সুদে ধার দেনা করে টাকা দেওয়ার পরে এখনও তিন মাস ধরে আমার ভাই নিখোঁজ রয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট আমার ভাইকে জীবিত ফেরৎ চাই ও দালালদের কঠিন বিচার দাবি করছি।

এদিকে সরেজমিনে অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদের বাড়িতে গেলে, উক্ত মামলায় তিনি জেল হাজতে রয়েছেন মর্মে তার পরিবার গণমাধ্যমকে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। অপরদিকে, অভিযুক্ত রুহুল আমিন মোল্লার পৈতৃক বাড়িতে গিয়ে মেইন ফটকে তালাবদ্ধ দেখা যায় এবং টেকেরহাট- গোপালগঞ্জ মহাসড়ক সংলগ্ন জলিড়পারের নতুন আলিশান বাড়িতে গিয়ে খুঁজে না পেয়ে তার মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বর্তমানে ঢাকায় রয়েছি। ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এবিষয়ে গোহালা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মাতুব্বর গভীর দুঃখ প্রকাশ করে গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, উন্নত জীবনের মিথ্যা প্রলোভনে মানুষকে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানোর নামে জিম্মি করে যারা মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করে সর্বশান্ত করছে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

মুকসুদপুর থানার ওসি (তদন্ত) শীতল চন্দ্র পাল বলেন, এ ঘটনায় আদালতের নির্দেশে মুকসুদপুর থানায় মানব পাচার দমন আইনে একটি মামলা রুজু হয়েছে এবং আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সাথে জরিত থাকা ও টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। অপর আসামি রুহুল আমিন মোল্লাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। ভিকটিম মিরাজুল শেখ এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021
Design & Developed By : Modhumoti Kantho