মোঃ নাঈম হোসেন পলোয়ান।ফরিদগঞ্জ(চাঁদপুর) প্রতিনিধি :
ফরিদগঞ্জে বিধবা নুরজাহানের পৈতৃক সম্পত্তি ও খরিদা সম্পত্তি জোর পূর্বক বেদখলের চেষ্টা, বসতঘর ও রান্নাঘর ভাংচুর।পূর্বের শত্রুতার জেরধরে।
দ্বীন ইসলাম বাবু বাদী হয়ে ২৭/১১/২০১৬ সালে মোস্তফা জমাদার,পিতা মৃত নুরুল ইসলাম জমাদার,ছেলে মামুন জমাদার পিত মোস্তফা জমাদার, সালমা বেগম (রিনা) স্বামী মোস্তফা জমাদ্দার। রিনা বেগমকে প্রথম আসামি করে কোর্টে ও থানায় ৩/৪জনের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করি। মামলাটি চলমান আছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৪ নং ফরিদগঞ্জ দঃ ইউনিয়নের পশ্চিম পোয়া(২নং ওয়ার্ড) জমাদার বাড়ির নুরজাহান বেগম ৫৫,মৃত স্বামী আহম্মদ উল্লাহ,পোয়া মৌজা ২৮৬ নং মৌজার বিএস ১৩১নং খতিয়ান ভুক্ত ৪৯৭ নং দাগে বাড়ী ও বিভিন্ন খতিয়ানে পৈত্রিক ও ভাইদের থেকে খরিদা সূত্রে আনমানিক ৫ পাচঁ শতক সম্পত্তি মালিক হয়ে বসবাস করে ভোগ দখলে রয়েছে দীর্ঘদিন। গত ৫ই জুলাই সরকার পতন হওয়ার পর সারাদেশে যখন আনন্দ উল্লাস করে,দেশে কোন সরকার না থাকায় সেই সময় সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গত ৬ তারিখে মোস্তফা মিয়ার ছেলে রায়হান ও এলাকার চান্দাবাজ,সন্ত্রাসী, ডাকাতিয়া নদীর থেকে বালু উত্তোলন কারী, গরু ছিনতাইয়ের হুমকি দাতা, দুই লক্ষ টাকার চাদাঁদাবী,ডিসের সরঞ্জাম আত্মসাৎ,আওয়ামিলীগ সরকার ক্ষমতা থাকলে আওয়ামী লীগ,বিএনপি আসলে বিএনপি এই বহুরূপী এলাকার সাইফুল মেম্বার ইন্ধনকারী সাইফুকে সাথে নিয়ে বিধবার বসতঘর,রান্নাঘর ও বাথরুম ভাংচুর করে গত ০৬ আগস্ট সকালে। ঐ বাড়ীর দাগের ভুমির গাছ ও কেটে নিয়ে যায়। মোস্তফার স্ত্রী সালমা বেগম ওরফে রিনা বেগম অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে অন্যায় ভাবে ঐ দখলিয় ভুমিতে ভাংচুর করে ঐ ভুমি থেকে বেদখলের চেষ্টা চালায়।
এবিষয়ে বিধবা নুরজাহান বলেন, আমি দীর্ঘ দিন ধরে আমর এ ভুমি ভোগ দখল করে আসছি। আমি আমার ভাইদের কাছ থেকে খরিদ সূত্রে ও আমার বাবার পৈতৃক সূত্রে মালিক, আমি ভোগ দখলে থাকিয়া, আমি আমার একমাত্র পুত্র দ্বীন ইসলাম বাবুকে হেবাকৃত করে দিয়েছি ঐ ভুমিতে
আমাদের ভেদখলে পায়তারার চেষ্টা করে। তাই আমরা তাদের বিরুদ্ধে কোটে ও ফরিদগঞ্জ থানায় ২টি মামলা দায়ের করেছি। বর্তমানে মামলা চলমান প্রক্রিয়ায় আছে।
বিধবা নুরজাহানের ভাই শফিকুর রহমান বলেন আমার বাবার মৃত্যুর পর পৈত্রিকসূত্রে মালিক হইয়া বড় ভাই মৃত সৈয়দ আহমদ, অহিদউল্লাহসহ আমার বোনের কাছে জাগা বিক্রি করেছি। মোস্তফা জমাদার তার ছেলেরা সাইফুল মেম্বারসহ জোর প্রয়োগ করে আসছে। বহুবার বসা হলো তারা মানছে না। তারা আমার সৎ ভাই আনোয়ার হোসেন জমাদারের কাছ থেকে খরিদ করেছে।তাদেরকে তাদের কাগজপত্র নিয়ে বসার জন্য বলেছি, পরে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি।
এবিষয়ে শফিকুর রহমানের স্ত্রী কুসুম বেগম বলেন বিরোধ সম্পতি আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি, তাই মোস্তফা জামাদার ও তার স্ত্রী ছেলেরা বহিরাগত সহ নুরজাহানকে এ সম্পত্তি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় তাপস জামারদার বলেন, বিরোধ সম্পতি নিয়ে আমরা কতেক বার তাদের নিয়ে শালিস বৈঠককে বসেছি, কাগজ ও দলিল পত্রে বিরোধ সম্পতি নুরজাহান ও তার ছেলের দীন ইসলাম মালিক হলেও শালিসের কোন সিদ্ধান্ত মানেনা।২নং ওয়ার্ডের সাইফুল মেম্বার দলবল নিয়ে মাঝে মাঝে ঝামেলা করে,এ-সময় আমার কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা চেয়েছে পরে এক লক্ষ টাকার, আমি দেই নাই। আমার গরু নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছে, হুমকি দিয়েছে, পরে আমি নিতে দেই নাই। বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে অপকর্ম করে থাকে। মাঝে মাঝে আমাদেরকে হুমকি-ধমকি দেয় আমরা সব সময় ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছি। আমাদের এলাকার একজন ডিস নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ী তার মেশিন ও সরঞ্জাম নিয়ে গিয়েছে।
এ বিষয়ে বিবাদী মোস্তফা জমাদারের স্ত্রী সালমা বেগম রিনা কে ঘটনাস্থলে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে,মৃত আব্দুল হামিদ জমাদারের সৎ ছেলে আনোয়ার হোসেন জমাদার,আনোয়ার উল্যা জমাদারের কাছ থেকে জমিন খরিদ করেছি ৫ শতক, ৩দাগে। ষাহা পোয়াঁ মৌজা ২৮৬নং বিএস ১৩১নং, খতিয়ান নং ১৩৬/১, ১২৪/৪০৭, দাগ নং ৪৯৭,বিএস ৬৯১। পূর্বে এখানে মোঃ আনোয়ার উল্যা জমাদ্দারের ঘর ছিল। সে আমাদের কাছে বিক্রি করে ঢাকা চলে গিয়েছে। আমাদের খারিজ খতিয়ান ও জমা খারিজের কাগজ রয়েছে, আমরা তাদেরকে বহুবার দেখায়াছি, কয়েক বার গ্রাম্য শালিসির মাধ্যমে বসেছি। কিন্তু তারা মানতে রাজি না।আমরাও কোর্টে মামলা দায়ের করেছি, কয়েক বছর মামলা চলার পর কোট আমাদেরকে রায় দিয়েছে।
এদিকে সম্পত্তির মূলমালিক আনোয়ার উল্যা জমাদ্দারের সাথে আমরা সংবাদ কর্মিরা যোগাযোগ করার জন্য চেষ্টা করেছি, তার মোবাইল নাম্বার না পাওয়ার কারনে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply