1. modhumotikanthobd@gmail.com : Shohidul Islam : Shohidul Islam
  2. modhumotikantho@gmail.com : support : Shohidul Islam
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জে ডা. বাবরের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জে ডা. বাবরের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত মুকসুদপুরে জাতীয় টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইন উপলক্ষে কোঅর্ডিনেশন সভা অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জ জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত মুকসুদপুরে জাতীয় টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইন ২০২৫ উপলক্ষে হাসপাতাল কনফারেন্স রুমে কোঅর্ডিনেশন সভা অনুষ্ঠিত মুকসুদপুরের সালিনাবক্স দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি ইনডিপেনডেন্ট টিভির সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন মুকসুদপুরে মহারাজপুর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকদলের কর্মিসভা ​গোপালগঞ্জে গণফোরামের ৩১ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা মুকসুদপুরে মহারাজপুর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকদলের কর্মিসভা ‎“যে মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে, তা এখনো চূড়ান্ত নয়” —আলহাজ্ব এম.এ.হান্নান ‎

পুলিশ কর্মকর্তা তুহিন লস্কর ও তার স্ত্রীর ৭ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ জব্দ করেছে দুদক

  • Update Time : সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২২৯ Time View

পুলিশ কর্মকর্তা তুহিন লস্কর ও তার স্ত্রীর ৭ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ জব্দ করেছে দুদক

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ 

ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) তুহিন লস্করের স্ত্রী জামিলা পারভীন কুমকুমের মালিকানাধীন গোপালগঞ্জ শহরে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ তলা ভবনের বিলাসবহুল বাড়ি ও ঢাকায় একটি ফ্ল্যাটসহ মোট ৭ কোটি ২৭ লাখ ৯১ হাজার ৯০১ টাকার স্থাবর সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

একই সাথে বাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গোপালগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর উপ-পরিচালক মোঃ মশিউর রহমানকে রিসিভার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে গোপালগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মোঃ মশিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তুহিন লস্করের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল মান্নান লস্করের ছেলে। তিনি টানা ১০ বছর ধরে ফরিদপুরে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। তার স্ত্রী জামিলা পারভীন কুমকুম একজন গৃহিণী।

মোঃ মশিউর রহমান বলেন, বিজ্ঞ  আদালত দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা ২০০৭-এর বিধি ১৮ অনুযায়ী এসব সম্পদ জব্দ করার আদেশ দেন এবং একইসঙ্গে এর সঠিক নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনা, তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় গোপালগঞ্জকে রিসিভার হিসেবে  নিয়োগ দেন।

জব্দের তালিকায় রয়েছে ৭ কোটি ২৭ লাখ ৯১ হাজার ৯০১ টাকার স্থাবর সম্পদ। তার মধ্যে গোপালগঞ্জ জেলা সদরের খাটরা মৌজার ৫ দশমিক ২০ শতক জায়গায় অবস্থিত ৬ তলা একটি ভবন তার স্ত্রী জামিলা পারভীন কুমকুমের নামে রয়েছে। যার মূল্য ৬ কোটি টাকা। এ ছাড়া ঢাকার মিরপুরে রাকিন সিটি প্রজেক্টে অবস্থিত বিল্ডিং এ-৬, টাওয়ার-০১–এর ৬ষ্ঠ তলায় ১ হাজার ৮৭২ বর্গফুট আয়তনের একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। যার মূল্য চুক্তিপত্র অনুযায়ী ১ কোটি ২৭ লাখ ৯১ হাজার ৯০১ টাকা। যা তুহিন লস্করের নিজ নামে রয়েছে। এসব সম্পদ তারা আয়কর নথিতে উল্লেখ করেননি বলে দুদক জানায়।

দুদকের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, এর আগে আদালতের আদেশে তুহিন লস্কর ও তার স্ত্রীর নামে থাকা তিন কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ জব্দ এবং ১ কোটি ৬ লাখ টাকার ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে।

অপরদিকে, স্ত্রী জামিলা পারভীর কুমকুমের ব্র্যাক ব্যাংকের ফরিদপুর শাখায় ২টি আলাদা ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৮০ লাখ টাকা ও একই ব্যাংকে তুহিন লস্করের হিসাবে থাকা ২৬ লাখ ৪৮ হাজার টাকা যা ক্রোক করে দুদক।

দুদক জানায়, বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেও এসব অর্থ উপার্জনের কোন উৎস দেখাতে পারেননি জামিলা পারভীন। খুলনার হাউজিং এস্টেটে একটি ৫ তলা বাড়ি, ফরিদপুরে দুটি ফ্ল্যাট এবং গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে তার নামে কয়েক কোটি টাকা মুল্যের বেশকিছু জমি রয়েছে বলে দাবি করে সূত্রটি।

মোঃ মশিউর রহমান জানান, ফরিদপুর জেলা পুলিশের সাবেক ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) তুহিন লস্কর ও তার স্ত্রী জামিলা পারভীন কুমকুমের নামীয় গোপালগঞ্জ সদরের চাঁদমারি রোডে অবস্থিত ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ তলা ভবনের রিসিভার নিয়োগের বিজ্ঞ আদালতের আদেশ প্রাপ্ত হয়েছি। আদেশ প্রাপ্ত হয়ে বাড়ির দখল বুঝে নেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। সরেজমিনে পরিদর্শন করে ৭ জন ভাড়াটিয়া থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। আজ সোমবার ইনভেন্টরি করে বিজ্ঞ আদালতকে অবহিত করা হবে।

সম্পদ ক্রোকের বিষয়ে তুহিন লস্কর গণমাধ্যম কে বলেন, ঢাকায় আমার নামে কোনো ফ্ল্যাট নেই। গোপালগঞ্জের বাড়ি আগে ক্রোক করে আবার নতুন করে ক্রোক দেখানো হচ্ছে। বাড়ি নির্মাণের ব্যয় দুদক বেশি দেখানো হয়েছে। এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতের নোটিশের নিষ্পত্তি না করে এসব করা হচ্ছে। আমার সব সম্পত্তি আয়করের আওতাধীন। এখানে জালজালিয়াতির কিছুই নেই। তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। মামলা না করে দুদকের সম্পদ জব্দের তৎপরতা হয়রানি ছাড়া আর কিছুই নয়। অভিযুক্ত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তুহিন লস্কর ফরিদপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত হলেও বর্তমানে প্রেষণে রংপুরে রয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021
Design & Developed By : Modhumoti Kantho