মুকসুদপুরে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে ৬ মাসের অন্তসত্বা।অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের
শহিদুল ইসলাম ঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার
কোহলদিয়া গ্রামে ৭৫ বছরের দাদা কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়ে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে সপ্তম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী(১৩)। অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি আবু সরদার (৭৫)কে আসামী করে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ে করেছেন।
মামলা বিবরণ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী ইউনিয়নের কোহলদিয়া গ্রামের
সোহেল সরদারের মেয়ে কোহলদিয়া উচ্চবিদ্যালয় সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া
শিক্ষার্থীকে একই বাড়ীর উপর সম্পর্কে দাদা বিজিবি (অবসরপ্রাপ্ত) আবু সরদারের আপন নাতিনী রাবেয়ার সাথে দাদার ঘরের ভিন্ন রুমে ঘুমাতো তারা দুইজন।তখন থেকে দাদা আবু সরদার তাকে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। গত১৩-০৪-২০২৪ ইং তারিখে আবু সরদার এর নাতনি রাবেয়া
বাড়িতে না থাকায় রাবেয়ার রুমে একাই ঘুমায় সে। এই সুযোগে আবু সরদার তাকে রুমে একা পেয়ে গভীর রাতে তার রুমে ঢুকে মুখ বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সে বিষয়টি তার পিতা-
মাকে জানাতে চাইলে আবু সরদার তাকে খুন করে ফেলার ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। ভয়ে সে কাউকে কিছু জানাই না। এই সুযোগে আবু সরদার প্রায় দিনই তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্ব ধর্ষণ করতে থাকে। দিনদিন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তার মা মেয়ের কাছে শারীরিক বিষয়ে জানতে চাইলে সে তার মার কাছে সব সত্য ঘটনা খুলে বলে। মা স্বামী সোহেল সরদারের কাছে ঘটনা সব কিছু জানান। সোহেল সরদার ঘটনা জানার পর আপন বোন ছানিয়া বেগমের কাছে বিস্তারিত জানান। ছানিয়া বেগম ও বাড়ীর লোক
জন তাকে চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার মাহামুদা ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাম করান। আল্ট্রাসনোগ্রামে ধর্ষিতা ৬মাসের অন্তঃ
সত্ত্বা বলে ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের দায়িত্বরত ডাক্তার জানান।ধর্ষিতার ফুফু ছানিয়া বেগম বিষয়
টি নিয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে অভিযুক্ত (ধর্ষক) আবু সরদারের সঙ্গে যোগা
যোগ করলে আবু সরদার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেন। এক পর্যায়ে ধর্ষিতার পরিবার মামলার ভয়ভীতি দেখালে ধর্ষিতার ফুফু ছানিয়া বেগমকে অভিযুক্ত আবু সরদার কিছু টাকা নিয়ে বিষয়টি অন্য কাউকে না জানাতে নিষেধ করেন। ঘটনাটি গ্রামব্যাপী ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ধর্ষিতার পিতা সোহেল সরদার বাদী হয়ে আবু সরদারকে আসামি করে মুকসুদপুর থানায় গত ২৫-১০-২৪ইং তারিখে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এব্যাপারে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে আলাপকালে ধর্ষিতা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং সে তার গর্ভের সন্তানের পিতৃত্ব স্বীকৃতি দাবি করেছে। ঘটনার সম্পর্কে জানতে সাংবাদিকরা অভিযুক্ত আবু সরদারের বাড়িতে গেলে তাকে বাড়ীতে পাওয়া যায়নি। তার স্ত্রীর সাথে যোগা
যোগ করলে তিনি জানান আমার স্বামী অসুস্থ হয়ে বর্তমান ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনার সম্পর্কে তিনি বলেন,আমরা টাকা দিয়ে বিষয়টি মীমাংস করতে চেয়েছি কিন্তু তাদের পরিবার টাকার বিনিময় মীমাংসা করতে রাজি হয়নি। তাকে (ধর্ষিতা)কে বিবাহ করে ঘরে তোলার জন্য আবু সরদারসহ আমাদের পরিবারকে চাপ সৃষ্টি করছে। মুকসুদপুর থানার ওসি (তদন্ত) শীতল চন্দ্র
পালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মামলার সত্যতা স্বীকার করেন। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
Leave a Reply