গোপালগঞ্জে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ কাইয়ুম সরদার নামের এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নির্দেশ অমান্য করে আত্মঘাতী ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে চলেছেন সদর উপজেলার রঘুনাথপুর ইউনিয়নের বালাবাজার এলাকার কাইয়ুম সরদার নামের এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বেদগ্রাম-রঘুনাথপুর সড়ক সংলগ্ন বালাবাজার এলাকায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৯ ডিসেম্বর সকালে সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে বেদগ্রাম- রঘুনাথপুর সড়কের বালাবাজার এলাকায় বিশাল বেডে আত্মঘাতী ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু ভরাট করতে দেখা যায়। পরে বিষয়টি সদরের রঘুনাথপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সংশ্লিষ্টদেরকে জানালে তারা খবর পেয়ে ওই এলাকায় গিয়ে কাইয়ুম সরদারকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বন্ধ করে পাইপ খুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু চতুর কাইয়ুম সরদার ভূমি অফিসের লোকজনের সামনে ড্রেজার মেশিন সাময়িকভাবে বন্ধ করে। বিষয়টি ওই দিন সদরের ইউএনও এম রকিবুল হাসানকে জানালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি আমাকে ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে জানানো হয়েছে। আবার মেশিন চালালে আমাকে জানাবেন। ওই ঘটনার বেশ কয়েকদিন সেই জায়গায় পুনরায় বালু ভরাট করতে থাকেন কাইয়ুম সরদার।
পরে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে সরেজমিনে গিয়ে এ অভিযোগের আবারো সত্যতা পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে সদরের ইউএনও এম রকিবুল হাসানকে কাইয়ুম সরদার কর্তৃক পুনরায় অবৈধ ড্রেজার মেশিন পরিচালনার বিষয়টি জানানো হলে তিনি বালু উত্তোলনের ছবি পাঠানোর অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কাইয়ুম সরদারের ব্যবহৃত ব্যক্তিগত ০১৭…৬২ নম্বরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে বালা বাজার এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু ভরাটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমিই ওখানে বালু ভরাট করতেছি। নেটওয়ার্কের সমস্যা, এখন একটি মিটিং এ আছি। পরে কথা বলবো বলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার এম রকিবুল হাসান আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন, অচিরেই দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, এছাড়াও ভেকু মেশিন দিয়ে কৃষি জমির মাটি কেটে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করাও বে-আইনি। আমরা শুনেছি কোন কোন জমির মালিক অর্থের বিনিময়ে অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করে দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে আমরা জমির মালিকদেরকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানাবো। না শুনলে তাদের বিরুদ্ধে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিবো।
Leave a Reply