মহিমান্বিত কদরের রাতে ইবাদত ও প্রার্থনা.
পারভেজ শেখ কাশিয়ানী প্রতিনিধি:
জিজ্ঞাসা করেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি জানতে পারি লায়লাতুল কদর কোনটি তাহলে আমি সে রাতে কি বলব? তিনি বলেন, তুমি বলো, আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউয়ুন কারিমুন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু আন্নি। অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল দয়ালু, আপনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। সুতরাং আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৫১৩)
বুজুর্গ আলেমরা বলেন, মহিমান্বিত এই রাতে আল্লাহর ক্ষমা ও দয়া সে ব্যক্তিই লাভ করবে, পরিচ্ছন্ন দেহ ও মন নিয়ে আল্লাহর দরবারে হাজির হবে। আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলি বলেন, ‘‘উত্তম হলো যে রাতে ‘কদর’ অনুসন্ধান করা হবে তাতে পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, গোসল-সুগন্ধি-উত্তম কাপড়েরর মাধ্যমে সৌন্দর্য বর্ধন করা। আর বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্য যথষ্টে নয়, যদি না মানুষের ভেতরটা সুন্দর হয়। মানুষের ভেতর সুন্দর হয় তাওবা ও আল্লাহমুখী হওয়ার মাধ্যমে।’ (লাতায়িফুল মাআরিফ, পৃষ্ঠা ১৮৯)
যেহেতু কদরের রাত কবে হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ ঘোষিত হয়নি, তাই মুমিনের উচিত রমজানের শেষ দশকের প্রত্যেক বেজোর রাতে কদর অনুসন্ধান করা। ঠিক যেমনটি মহানবী (সা.) বলেছেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করো।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০১৭)
Leave a Reply