১৯ বছর পর ক্রয়কৃত সম্পদ ফিরে পেলেন বৃদ্ধ মোতালেব
জেলা প্রতিনিধি, মাদারীপুর:
মাদারীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আদালতে মামলার ঊনিশ বছর পর ক্রয়কৃত সম্পদ ফিরে পেলেন ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ মোতালেব পুস্তি (৬৫)। রোববার (২৭ এপ্রিল) সকালে জেলার শিবচর উপজেলার ভান্ডারীকান্দি এলাকার টেংরামারি গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে জমি পরিমাপ করে তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এতে খুশি উভয় পক্ষসহ এলাকাবাসী।
জানা যায়, শিবচর উপজেলার ভান্ডারীকান্দি ইউনিয়নের টেংরামারি গ্রামের মোতালেব পুস্তি (৬৫) ও সালাম পুস্তি (৭০) সহ চান্দু পুস্তির (৬০) মাঝে দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। নিজের ক্রয়কৃত জমি বুঝে পেতে আইনের আশ্রয় নেন মোতালেব। আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। কিন্তু আদালত থেকে রায় পাওয়ার পরেও সালাম ও চান্দু জমি বুজিয়ে দেয়নি। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের শরণাপন্ন হন মোতালেব। কিন্তু তারাও জমি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে সালাম ও চান্দুর কাছে ব্যর্থ হন। এভাবেই কেটে যায় ঊনিশটি বছর। একপর্যায়ে সালিশি মীমাংসার জন্য সম্মতি দেয় উভয় পক্ষ। পরবর্তীতে উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে ও মৌখিক কথা শুনে এবং সেগুলোকে আলোচনা-পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করেন সালিশ পক্ষ। এরপর উক্ত জমিতে আমিন দ্বারা চিহ্নিত করে উভয় পক্ষের সম্মতিতে সিমানা খুটি স্থাপন করেন তারা। এসময় ভুক্তভোগী বৃদ্ধ মোতালেবের জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের এ সিদ্ধান্তকে উভয় পক্ষ সাধুবাদ জানায় এবং সিদ্ধান্ত মেনে নেয়। এ সালিশ মিমাংসার মাধ্যমে শেষ বয়সে এসে নিজের সম্পদ ফিরে পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছেন মোতালেব। খুশি হয়েছেন অপর পক্ষ সহ স্থানীয়রা।
শালিস পক্ষ জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, দীর্ঘদিন যাবত মোতালেব পুস্তি ও চান্দু পুস্তিদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এই জমি নিয়ে মোতালেব পুস্তি আদালতে মামলা করে সেই মামলায় মোতালেব পুস্তি আদালতের রায়ও পায়। কিন্তু তার পরেও সালাম ও চান্দু জমি না বুজিয়ে দিয়ে তাকে হয়রানি করে। এ কারণে আমরা শালিসিগণ একটা দিন তারিখ ঠিক করি। পরে আজ আমরা জমি পরিমাপ শেষে উভয় পক্ষের জমি বুজিয়ে দিতে সক্ষম হই। উভয় পক্ষই আমাদের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে।
জমি ফিরে পেয়ে বৃদ্ধ মোতালেব পুস্তি বলেন, ২০০৬ সাল থেকে সালাম ও চান্দুর সাথে আমার জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। আজ শালিসির মাধ্যমে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে আমাকে আপোষ মিমাংসা করে দেয়। শালিসির সাথে একমত হয়ে আমি তা মেনে নিয়েছি।
Leave a Reply