বিলুপ্তপ্রায় বটবৃক্ষ রোপণ করেছে স্বপ্নপুর
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সুন্দরের স্বপ্নে নিরন্তর এই স্লোগান কে ধারণ করে নানামূখী কর্মসূচী নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সামাজিক সংগঠন স্বপ্নপুর।
বিগত বছর গুলোর মতোই সংগঠন টি মুকসুদপুর সহ গোটা দেশ জুড়ে তাদের সামাজিক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার তারা বিলুপ্ত হতে যাওয়া বটবৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার ১৭ টি ইউনিয়নে মোট ৮০ টি বটবৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি’র শুভ সূচনা হয় ০৯ জুন ২০২৫ ইং তারিখে। প্রথম পর্বে উপজেলার বাটিকামারী, মহারাজপুর, মোচনা, কাশালিয়া, ননীক্ষীর, জলিরপাড়, গোহালা, দিগনগর এবং রাঘদী ইউনিয়নে সর্বমোট ৪০ টি স্থানে বট এবং পাকুড় (অশ্বত্থ) গাছ রোপণ করা হয়।
বটবৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি’র শুরুতে উপস্থিত গুণীজন ও স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্দেশ্যে স্বপ্নপুরের মুখপাত্র মাহমুদ সিমান প্রকৃতি ও পরিবেশের উপর বটবৃক্ষের প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনায় সংস্কৃতি, মানুষ, নানান প্রজাতির পাখি এবং পতঙ্গের পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়ায় এই বৃক্ষের অপরিসীম অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি উপস্থিত ব্যক্তি, সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণকে পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ এবং সংরক্ষণে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
এই আয়োজনে উপস্থিত বাটিকামারী স্কুলের সাবেক শিক্ষক আবুল হোসেন (হাসান স্যার), বাটিকামারী স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম পান্নু, ভাঙ্গা কেএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোসায়েদ হোসেন ঢালী, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সাবেক শিক্ষক ফিরোজ খান, জয়নগর কলেজ অধ্যক্ষ মোঃ শহীদুল ইসলাম, শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী মাতুব্বর তোফায়েল হোসেন (ভাঙ্গা), বাটিকামারী স্কুলের শিক্ষক খায়রুল বাকী শরীফ তাদের স্ব-স্ব বক্তব্যে প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে বটবৃক্ষ রোপণের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং স্বপ্নপুরের নানামুখী কার্যক্রমের সাথে থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
স্বপ্নপুরের সভাপতি আবুল কাশেম তার সমাপনী বক্তব্যে সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং স্বপ্নপুরের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
কর্মসূচীতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বপ্নপুরের সদস্য মোজাহিদ হোসাইন, মোঃ নুর আলম, মাহবুব আলম, ইমার হোসেন, হাদিউজ্জামান হেলাল, দীপ্র দত্ত, নাঈম মিয়া, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
Leave a Reply