কে এম সাইফুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
শিল্পমন্ত্রী বলেছেন, শিল্প মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয় ইউরিয়া সার বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) এর সার কারখানাগুলোর মাধ্যমে উৎপাদন এবং বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশে ইউরিয়া সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে ইউরিয়া সারের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশে বর্তমানে বছরে কমপক্ষে ২৫ লাখ মেট্রিকটন ইউরিয়া সারের চাহিদা রয়েছে। উক্ত সারের ন্যূনতম ৬০% থেকে ৭০% বিদেশ থেকে আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হয়। আমদানিকৃত সার দেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত বিএডিসি এর ২৫টি বাফার গুদামের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডিলারদের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এছাড়া, নিরাপদ মুজদ নিশ্চিতকরণে ২৫ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের অতিরিক্ত হিসেবে আরো ৫ লাখ মেট্রিক টন সার বাফার গোডাউনসমূহে মজুদ রাখা প্রয়োজন। বর্তমানে কারখানা ও সকল বাফার গোডাউনের ধারণ ক্ষমতা সর্বোচ্চ ৩ লাখ মেট্রিক টন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় দু’টি পৃথক প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩টি ও ৩৪টি করে মোট ৪৭টি বাফার গোডাউন নির্মাণ করা হচ্ছে। সবগুলো বাফার গোডাউন নির্মাণ সম্পন্ন হলে প্রতিটিতে ১০,০০০ (দশ হাজার) মে. টন করে মোট প্রায় ৫ লাখ মেট্রিক টন সার মজুদ রাখা সম্ভব হবে বলে আশা করি।
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা মৌজায় ১০ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার গুদাম নির্মাণ কাজের ভৌত অগ্রগতি প্রায় শতকরা ৪০ ভাগ। প্রায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন প্রকল্পটি দ্রুত শেষ করার জন্য মন্ত্রী নির্দেশ প্রদান করেন।
আজ শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও মাজার জিয়ারত করে বিসিআইসি কর্তৃক নির্মাণাধীন সারের বাফার গোডাউন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সফরসঙ্গী হিসেবে এ সময় শিল্পমন্ত্রীর সহধর্মিণী নাদিরা মাহমুদ, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি এবং শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান শাহ্ মো. ইমদাদুল হক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নূরুল আলম, জনেন্দ্রনাথ সরকার, এসএম আলম, যুগ্মসচিব মো.আব্দুল ওয়াহেদ সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে শিল্মপন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি ও প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি বঙ্গবন্ধু ভবনে সংরক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে পৃথক-পৃথকভাবে মন্তব্য লিখে তাতে করেন স্বাক্ষর করেন।
Leave a Reply