গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার খান্দারপাড়া ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাব্বির খানের বিরুদ্ধে ওয়ারিশ সনদের জন্য ৪ লক্ষ টাকা উৎকোচ দাবি ও দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে একই দিনে ইস্যু করা একটি সনদের দুটি উত্তরাধিকারী সনদ প্রদান করার যে অভিযোগটি আনা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সুযোগ্য এই ইউপি চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সংকটে ফেলতে ও রাজনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে তাঁর বিরুদ্ধে হয়রানির উদ্দেশ্যে এ ধরনের মানহানিকর ও অসত্য অভিযোগ তুলে ধরে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। মিথ্যা অভিযোগ এনে তাঁর (চেয়ারম্যান) বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইয়াসমিন নামে এক নারী। ওই সংবাদ সম্মেলনে আনা অভিযোগ গুলোর সাথে ওই চেয়ারম্যানের কোন সংশ্লিষ্টতা এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রকৃত অর্থে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই মিথ্যা অভিযোগগুলো করা হচ্ছে দাবি চেয়ারম্যানের।
উল্লেখিত অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাব্বির খান বলেন, একটি কুচক্রী মহল আমাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক অভিযোগ এনে বিভিন্ন স্থানীয়, কয়েকটি জাতীয় পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে চলেছে, যার তীব্র নিন্দা ও প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানান তিনি। মুকসুদপুর উপজেলার স্থানীয় সাংবাদিকরা চেয়ারম্যানের কাছে
জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি, মাদক, জুয়াসহ যেকোন অপরাধের প্রতি ঘৃণা রেখেই আমার পথচলা। এছাড়া আমি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। দুই বারের ইউপি চেয়ারম্যান। নিয়ম মেনে সততা ও নিষ্ঠার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে চলেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সম্প্রতি সমাজের কতিপয় ব্যক্তি ও আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ইশারায় সম্পূর্ণ মিথ্যা ঘটনার বিবৃতি স্থাপন করে কয়েকজন কথিত সাংবাদিকদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আরো বলেন, আমার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে প্রতিপক্ষের বেঁধে দেওয়া মিথ্যা স্থাপনকৃত ওই অভিযোগ নামে-বেনামে প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করা হচ্ছে। একই সাথে গণমাধ্যমে মারাত্মক রকমের মানহানিকর ও মিথ্যা ঘটনার বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। তথ্য যাচাই-বাছাই কিংবা অনুসন্ধান না করেই সেই মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতেই সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে, যা একেবারেই অপ্রত্যাশিত।
অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, যে সকল অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে। এর স্বপক্ষে কোন সাক্ষ্য-প্রমাণ দিতে পারবেনা অভিযোগকারী বা অভিযোগকারীরা। কেননা অভিযোগের জায়গাগুলোই কাল্পনিক। আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই কাজটি করছেন তারা। মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা চাওয়া হচ্ছে। এতে সাড়া না দেওয়ায় এখন অনেকটা ব্লাক-মেইলের শিকার হচ্ছি। মূলত এটিই হলো পিছনের গল্প।
তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, অপপ্রচার করা হচ্ছে। আর অপপ্রচার ছড়িয়ে দেওয়া গেলেও কখনো-ই প্রতিষ্ঠিত হয়না।অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও জানান তিনি।তাই অপপ্রচারকারি ও মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করার জন্য আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সঠিক তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।এব্যাপারে মুকসুদপুর থানায় গতকাল শুক্রবার (২ জুন) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এজাহারদায়ের করেছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান তিনি।
Leave a Reply