কে এম সাইফুর রহমান,
গোপালগঞ্জঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ইমাম রাজী টুলুর বিরুদ্ধে মুকসুদপুর সদর ঈদগাহ্ ও কবরস্থানের উন্নয়নের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
পরে এ সংক্রান্তে মুকসুদপুর সদর ঈদগাহ্ ও কবরস্থান সংরক্ষণ কমিটির সদস্য মো. মিজান মিয়া, হেমায়েত জান মিয়া সহ একাধিক সদস্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশন সহ একাধিক সংস্থায় অনুলিপি প্রেরণ করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অর্থ আত্মসাৎ এর এ বিষয়টি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে চলে আসছে। মুকসুদপুর সদর উপজেলা ঈদগাহ্ ও কবরস্থান উন্নয়ন কমিটির অর্থ আদায়কারী সোহেল আহম্মেদ কমিটির সদস্যদের অনুমতি না নিয়েই প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও মুকসুদপুর উপজেলার বর্তমান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ইমাম রাজী টুলুর বিরুদ্ধে কারণে-অকারণে লক্ষ লক্ষ টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক একাউন্ট (সোনালী ব্যাংক -এস.বি নং- ৬১০৮৫৩৪০০১৪৯৯ মুকসুদপুর শাখা) থেকে উত্তোলন করে নামমাত্র কাজে ব্যয় করে বাকি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি কবরস্থানের উন্নয়নের নামে ৩/৪ লক্ষ টাকা যৌক্তিক ব্যয়ের পরিবর্তে নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ইমাম রাজী টুলু অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে মনগড়া টেন্ডারের মাধ্যমে নির্ধারিত ঠিকাদারকে দিয়ে গত ২১ জুন ১২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন করান। শুধু তাই নয় গত মাসের ২৯ জুন পবিত্র ঈদ-উল- আযহা’র নামাজ বৈরী আবহাওয়ায় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত না হলেও ইউএনও ৩ লক্ষ টাকা ঈদের নামাজের আনুষঙ্গিক ব্যয় দেখিয়ে টাকা উত্তোলনের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী সদস্যগণ।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কমিটির সচিব মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযুক্ত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ফোনে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অভিযুক্ত মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম ইমাম রাজী টুলুর ব্যবহৃত ….০০০৮ নম্বরের মুঠোফোনে তিনি কোন ক্ষমতায় উক্ত কমিটির সভাপতি দাবি করছেন? অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য মনগড়া টেন্ডার দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলনের বিষয় এবং ঈদ- উল- আযহা’র জামায়াত ঈদগাহে অনুষ্ঠিত না হওয়া সত্ত্বেও কেন তিন লক্ষ টাকা খরচ দেখানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন? প্রশ্ন করলে মুঠোফোনে তিনি কথা না বলে সরাসরি কথা বলবেন বলে জানান।
এবিষয়ে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের ব্যবহৃত…৮৪৯৮ মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply