বর রেখে হেলিকপ্টার দেখতে উৎসুক জনতার ভীড়
আকাশ আহম্মেদ সোহেল, মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরের রাজৈরে বাবা-মায়ের ইচ্ছা পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যান ইতালি প্রবাসী যুবক লালচাঁন মিয়া। বিয়ে শেষে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন হেলিকপ্টারে করেই। কিন্তু উভয় স্থানেই বর এর থেকে স্থানীয়দের কাছে গুরুত্ব পায় হেলিকপ্টার। বরযাত্রী এবং আত্মীয়-স্বজনের চেয়ে হেলিকপ্টার দেখতে উৎসুক জনতারই ভিড় চোখের পড়ার মত ছিল।
বর লালচাঁন জেলার রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট সংলগ্ন ঘোষালকান্দি গ্রামের ইউনুস শেখের ছেলে। তার স্ত্রী একই উপজেলার গাংকান্দি শাখারপাড় গ্রামের আলী সরদারের মেয়ে শারমিন খাতুন।
রোববার (৩ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার টেকেরহাট শহীদ কবির মাঠ থেকে বর সেজে বাবা-মাকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়েন লালচাঁন। পরে একই উপজেলার গাংকান্দি শাখারপাড় মাঠে গিয়ে নামেন।
বর লালচাঁন বলেন, আমরা চার ভাই, আমি ভাইদের মধ্যে বড় “বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য ভাইয়েরা মিলে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে ২ ঘণ্টার জন্য হেলিকপ্টারটি ভাড়া করেছি। এই হেলিকপ্টারে আমার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে কনের বাড়িতে যাই। আমার বাবা, মা, আত্মীয়-স্বজন সবাই খুশি।”
বর লালচাঁনের বাবা ইউনুস শেখ বলেন, আমার চার ছেলে ইতালি প্রবাসী। আমাদের স্বপ্ন পুরন করতে ওরা চার ভাই মিলে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে হেলিকপ্টার ভাড়া করেছে। ভবিষ্যতে আমার বাকি তিন ছেলেকে এ ভাবে বিয়ে করাবো এমন আসা আছে। আমার ছেলেদের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
হেলিকপ্টার দেখতে আসা লাকি খানম বলেন, “আমি কখনও হেলিকপ্টার দেখিনি। এখানে আসবে শুনে দেখতে আসলাম। নামার পর দেখি, বর তার মা বাবাকে নিয়ে এসেছে। হেলিকপ্টার দেখতে পেয়ে আনন্দ হচ্ছে।”
টেকেরহাটের জাকারিয়া শেখ বলেন, “আমাদের গ্রামে এই প্রথম কেউ হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করল। আমরা হেলিকপ্টার দেখতে এসেছি; খুব ভালো লাগল।”
কনের বাবা আলী সরদার বলেন, পাশাবাশি এলাকায় আমি আমার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি। আমার জামাই তার বাবা-মায়ের সঙ্গে হেলিকপ্টারে চড়ে আমাদের বাড়ি এসেছে। এই হেলিকপ্টার ওঠা-নামা দেখার জন্য এলাকার শত শত মানুষ ভিড় করেছিল। আমি আমার মেয়ে-জামাইয়ের জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই।
তিনি আরও বলেন, এ অনুষ্ঠানে আত্মীয়-স্বজনসহ প্রায় হাজার খানেক অতিথিকে দাওয়াত করেছি। খাবারে পোলাও-মাংস, মাছ, ফিন্নি, দই ও মিষ্টিসহ নানা আয়োজন ছিল।
Leave a Reply