বেলায়েত হোসেন লিটন
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সদরপুরে হত্যা চেষ্টা মামলা করায় মামলার বাদিকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে প্রানের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে মামলার বাদী উপজেলার বাবুরচর গ্রামের কুদ্দুস শেখ। বর্তমানে প্রাণের ভয়ে নিরাপত্তাহিনতায় ভূগছে তার পরিবার।
জানাগেছে কুদ্দুস শেখের বাড়ীতে রাজ মিস্ত্রির কাজ করতে আসে একই উপজেলার বাছারডাঙ্গী গ্রামের বাচ্চু ফকিরের ছেলে আলামিন শেখ(২৪)।
কাজ করার সুবাদে কুদ্দুস শেখের মেয়ে লাবনী আক্তার (১৮) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
গত দেড় মাস পূর্বে দু’জন পালিয়ে বিয়ে করে স্বামীর বাড়ীতে সংসার শুরু করে লাবনী। কিন্তু বিয়ের এক মাস পর গত ২৯ নভেম্বর স্বামীর বাড়ী থেকে লাবনী বাবার বাড়ীতে চলে আসে।
পরদিন ৩০ নভেম্বর আলামিন শেখ স্ত্রী লাবনীকে নিতে শশুর বাড়ীতে আসে।
লাবনী তার সাথে আর সংসার করবেনা বলে স্বামী আলামিনকে ফেরত দেয়।
এতে আলামিন ক্ষীপ্ত হয়ে ঐ দিন রাতে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কুদ্দুসের বাড়ীতে হামলা করে।
এ সময় লাবনীকে এলোপাথারী ভাবে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছ্যানদা দিয়ে গলায় কোপ দিলে গলা কেটে যায়।
এছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাথারী কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে।
লাবনী মৃত্যু ভেবে তারা পালিয়ে যায়।
এ সময় লাবনীকে বাঁচাতে তার মা জাহানারা বেগম, দাদী আয়শা বেগম ও আরেক দাদী নাজমা বেগম এগিয়ে আসলে তাদেরও এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করে।
প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
সেখানে লাবনীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন। বর্তমানে লাবনী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এ ব্যাপারে ৯ নভেম্বর লাবনীর পিতা বাদী হয়ে সদরপুর থানায় ৫ জনের নাম উল্লখ করে আরো অজ্ঞাত ৫ জনের নামে মামলা দায়ের করে।
মামলার বাদি কুদ্দুস শেখ বলেন, মামলা করার পর থেকে মামলা তুলে নিতে আসামীরা বারবার আমাকে হুমকি দিচ্ছে।
মামলা তুলে না নিলে আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করবে বলে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply