1. modhumotikanthobd@gmail.com : Shohidul Islam : Shohidul Islam
  2. modhumotikantho@gmail.com : support : Shohidul Islam
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মুকসুদপুরের বনগ্রাম বাজারে সেলিমুজ্জামান সেলিমের গণসংযোগ গোপালগঞ্জে গণপূর্ত অফিসে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ, গাড়িতে আগুন রিকি শেখ গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : আগামী নির্বাচনে সকল ভেদাভেদ ভুলে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে কাজ করবেন -সেলিমুজ্জামান সেলিম ১৩ নভেম্বর গণপরিবহন চলবে কি না, জানাল মালিক সমিতি কোটালীপাড়ায় ফুলেল শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত হলেন বিদায়ী ডিসি মুহম্মদ কামরুজ্জামান গোপালগঞ্জ জামাত ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত মুকসুদপুরে ৩ নং ওয়ার্ড মহিলা দলের কর্মি সভা অনুষ্ঠিত বরগুনায় দুর্নীতি বিরোধী সমাজিক আন্দোলন জোরদার করণে এসিজি ও ইয়েস সদস্যদের অরিয়েন্টেশন। গোপালগঞ্জে ডা. বাবরের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জে ডা. বাবরের নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত

গোপালগঞ্জে জাল সনদধারী শিক্ষক ও থানাপাড়া মসজিদের ইমাম শিবলী আহমেদকে বাঁচাতে মরিয়া একটি চক্র

  • Update Time : সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০২৩
  • ৩০৬ Time View

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

গোপালগঞ্জে জাল সনদধারী শিক্ষক ও থানাপাড়া মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা শিবলী আহমেদকে বাঁচাতে মরিয়া একটি চক্র।

জাল সনদধারী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেও বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটিসহ জেলার সংশ্লিষ্ট কেউই এবিষয়ে ব্যবস্থা গ্ৰহণ করছে না। ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৭নং উরফি ইউনিয়নের হাজী খোরশেদ সপ্তপল্লী উচ্চ বিদ্যালয়ে। শিবলী আহমেদ ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক (ইসলাম ধর্ম) ও ডুমদিয়া মধ্যপাড়া গ্ৰামের সাবেক শিক্ষক শের আলী সরদারের ছেলে ছেলে। বর্তমানে তিনি গোপালগঞ্জ শহরের থানাপাড়া মসজিদে ইমামতি করছেন।

জাল সনদ ব্যবহার করে চাকুরি নিয়ে শিক্ষকতা করার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে জেলা জুড়ে ব্যপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী- অভিভাবক সহ এলাকার সচেতন মহল ও শিক্ষানুরাগীরা চরম ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন। জানাগেছে জাল সনদধারী শিক্ষক শিবলী আহমেদ গত ২০১২ সালে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসি)’র সনদ ইনডেক্স-১০৬১৪৯৫ জালিয়াতি করে বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহমেদ, তৎকালীন সভাপতি হাজী আশরাফুজ্জামান মুন্সী ও নিয়োগ সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে নিয়োগ নেন। দীর্ঘ কয়েক বছর ওই জাল সনদ দিয়ে শিক্ষকতা করার পর মন্ত্রণালয়ের এক অডিটে জাল সনদ ধরা পড়ে। পরবর্তীতে, যাচাই-বাছাই শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং- ৩৭.০০.০০০০.০৮৭.০৯৯.০০৩.২১-১০২, তারিখ- ১৮ মে ২০২৩ খ্রি. নির্দেশনা মূলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)’র ৩৭.০২.০০০০.১০৭.৩১.২২৭.২০২৩-১৩৬৪ নং স্মারকে গত ২২ জুন ২০২৩ তারিখে জাল সনদধারী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফৌজদারী অপরাধের মামলা দায়ের, অবৈধভাবে নেওয়া বেতন-ভাতা ৮ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮ শত টাকা আদায় করে ০৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা
করতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুলের এক সহকারী শিক্ষক জানিয়েছেন মাউশি’র নির্দেশনার এক মাস পেরিয়ে গেলেও অজানা কারণে স্কুল কমিটি কার্যকরি কোন ব্যবস্থা গ্ৰহন করেনি।

এবিষয়ে জাল সনদধারী শিবলী আহমেদের মন্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত…৬৬৪ নম্বর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অমান্য করে জাল সনদধারী ওই শিক্ষককে বাঁচাতে স্কুল কমিটির বর্তমান সভাপতি হাজী কবির হোসেন বলেন, আমরা ওই শিক্ষকে দিয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহমেদ ফৌজদারী মামলার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, শিক্ষক টাকা ফেরত দিলেইতো সমস্যার সমাধান। থানাপাড়া জামে মসজিদের একাধিক মুসল্লী এ বিষয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন আলেম মানুষ কি করে এমনটি করতে পারে। তার পিছনে নামাজ আদায় কতটা যুক্তিসঙ্গত তা জানা নেই। শুনেছি সে ফৌজদারী অপরাধে অপরাধী।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021
Design & Developed By : Modhumoti Kantho