ইতালি যাওয়ার পথে ট্রলার ডুবিতে মাদারীপুরের ৩ যুবকের মৃত্যু, পরিবারে শোকের মাতন
আকাশ আহম্মেদ সোহেল, মাদারীপুর প্রতিনিধি:
পরিবারের অভাব দূর করে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দালাল চক্রের মাধ্যমে দেশ ত্যাগ করেন মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুরের পূর্ব পুবালি গ্রামের এক পরিবারের দুই ছেলে মিলন ও আল-আমিন এবং একই গ্রামের খলিল খানের ছেলে শান্ত খান। ৭ মাস আগে ইতালির উদ্দেশ্য রওনা হয়ে আজ তিন মাস যাবত খোঁজ মিলেছে না তাদের লিবিয়া থেকে ইস্রাফিল নামে একজন ফেরত এসে জানিয়েছে তারা গত তিন মাস আগে নদী পথে ইতালি যাওয়ার সময় ট্রলার ভেটে গিয়ে মারা গেছে। এদিকে এসংবাদ পেয়ে পরিবারে চলছে শোকের মাতন। অভিযুক্ত দালাল ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ী গিয়ে পাওয়া না গেলেও তার স্ত্রী বিষয়টি অস্বীকার ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে জানান।
অবৈধপথে লিবিয়া হয়ে জন প্রতি ১৫ লাখ টাকা করে নিয়ে ইতালি পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ৭ মাস আগে বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে খাবার হোটেল ব্যবসায়ী মিলন ও মুরগী ব্যবসায়ী আল-আমিন ও শান্ত খানকে লিবিয়া দিয়ে পাঠান গোপালপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফরহাদ মোল্লা কিন্তু চার মাস লিবিয়া গেম ঘর নামক স্থানে আটক রেখে পরিবারকে না জানিয়ে নদী পথে ট্রলারের মাধ্যমে ইতালি পথে ছেড়ে যাওয়ায়, সেসময় একটি ট্রলার ভেটে গিয়ে বেশীর ভাগ মানুষ নিখোঁজ হয়। এবং সে সময় আরও একটি ট্রলারে মাদারীপুর ইসরাফিল থাকা অবস্থায় লিবিয়ার পুলিশের কাছে আটক হয়ে বাংলাদেশে ফেরত আসে তার পরিবার মঙ্গলবার রাতে মিলন, আল-আমীন ও শান্তর বাড়ীতে এসে ট্রলার ভেটে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ দিলে দুটি পরিবারে শুরু হশ শোকের মাতন। মিলন ও আল-আমিন দুই ভাইয়ের সংসারে বাবা মা ছাড়াও রয়েছে স্ত্রী ও একজন করে দেড় বছরের ছেলে সন্তান। এতোদিন নিখোঁজ থাকলেও এখন মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে পরিবারের সবাই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে এদিকে দালাল ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি গুজব বলে পরিবারকে ১০ তারিখ পযন্ত সময় নিয়েছে ছেলেদের সন্ধান দিবে। এবং যেদিন ট্রলার ডুবি হয়েছে সেদিন তাদের ইতালির উদ্দেশ্য তাদের পাঠানো হয়নাই সেটাও জানিয়েছে। তাদের সন্তানরা বেঁচে থাকুক বা মারা যাক যে অবস্থায় থাকুক তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার আকুতি জানান সংশ্লিষ্টরা।
মিলন ও আল- আমিনের মা, দুই ভাইয়ের দুই স্ত্রী জানান, পরিবারের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, জমি-জমা বিক্রি করে, ধার-দেনা করে লিবিয়া গিয়েও ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন পূরন হলো না, আমরা আমাদের মিলন ও আল-আমিনকে যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় ফেরত চাই।
শান্তর মা ও ফুফু বলেন, আমরা আমার ছেলেকে দিতে চাই নাই চেয়ারম্যান ফুসলিয়ে ফাঁসলিয়ে আমাদের ছেলেকে ইতালি নেয়ার কথা বলে নিছে। এরপর সে একজন চেয়ারম্যান তাই তার কথা বিশ্বাস করছি নগদ টাকা দিয়েছি। আমার ছেলে শান্তকে যেকোন উপায় ফেরত চাই।
দালাল ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ মোল্লাকে এবিষয়ে জানতে তার ইউনিয়ন পরিষদ অফিস, তার বাসস্থান ও মোবাইলে ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি তবে তার বাড়ীতে গিয়ে স্ত্রী বিষয়টি অস্বীকার ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে জানান
মারা গেলে সবাই জানতে পারবে শুধু শুধু গুজব রটাচ্ছে। এরপর তিনি এটাও বলেন, আমরা এবিষয়ে কিছু জানি না।
Leave a Reply