গোপালগঞ্জে র্যালী ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে জাতীয় যুব দিবস উদযাপন
কে এম সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জঃ
গোপালগঞ্জে নানা আয়োজনে জাতীয় যুব দিবস -২০২৪ উদযাপিত হয়েছে।
“দক্ষ যুব গর্বে দেশ’–বৈষম্যহীন বাংলাদেশ” –এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় দজেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়। গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত র্যালীতে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
র্যালী পরবর্তী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ “স্বচ্ছতা’য় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ গোলাম কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। আলোচনা সভা শুরুর পূর্বে সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত সকলে গোপালগঞ্জ জেলাকে অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত রাখতে শপথ বাক্য পাঠ করেন। শপথ বাক্য পাঠ করান গোপালগঞ্জ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।
গোপালগঞ্জ জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষক প্রতীভা অধিকারীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সফল উদ্যোক্তা হীরা খানম, সোহেলী আক্তার, ফ্রিল্যান্সার আহম্মদ রাইয়ান, বশেমুরবিপ্রবি’র ছাত্র প্রতিনিধি মোঃ জসিম উদ্দিন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ডেপুটি কো- অর্ডিনেটর মোঃ মাহাবুবুর রহমান।
এ সময় সিনিয়র সহকারী কমিশনার শেখ মোঃ আলাউল ইসলাম, সহকারী কমিশনার প্রবীর বিশ্বাস, রাসেল মুন্সী, শপথ বৈরাগী, টুঙ্গিপাড়া যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক সাজেদুল হক, সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আরিফ জামিল ফারুকী, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণরত প্রশিক্ষনার্থীরা সহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রার্থীদের হাতে সনদ ও ঋণের চেক, নতুন প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য শিক্ষানবিশ ও সফলভাবে উত্তীর্ণ প্রশিক্ষনার্থীদের হাতে ড্রাইভিং লাইসেন্স তুলে দেন। এছাড়াও যুবকদের সমন্বয়ে জেলা শহরের ঐতিহ্যবাহী বৈরাগীর খালকে কচুরিপানা মুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানানো হয়।
Leave a Reply