ইতালি নেয়ার প্রলোভনে লিবিয়ায় নির্যাতন
মারা গেলেন আবুল কালাম দালাল চক্র হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা
স্টাফ রিপোর্টার
ইমরান মাতুব্বরঃ
গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারি ইউনিয়ানে আলিপুর গ্রামে আবুল কালাম ইতালি নেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়ায় আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পরে জানা যায় তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন দালালের নাম রফিক বাড়ি আলিপুর গ্রামে।
জানা যায়, প্রথমে ইতালিতে উন্নত জীবনযাপনের প্রলোভন দেখিয়ে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা নিয়ে আগ্রহী কালাম কে লিবিয়ায় পাঠিয়ে তুলে দেয় সংঘবদ্ধ চক্র মাফিয়াদের হাতে। এরপর তাদের নির্যাতনের ভিডিও পরিবারকে দেখিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। এমনকি পরিবার মুক্তিপণ দিতে রাজি না হলে অনেককে দিতে হয় জীবন। গোপালগঞ্জের অর্ধশতাধিক যুবকে ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ার নিয়ে মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে দালাল রাকিব বিরুদ্ধে। দালাল রাকিব লিবিয়া থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে এভাবে অনেক মানুষের জীবন নিশ্চিত মৃত্যু জেনে ও টাকার জন্য রাকিব দালাল এই অপকর্ম চালিয়ে আসছে অনেকদিন ধরে।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের জেলার মুকসুদপুর উপজেলার আরো অনেকের জীবন এভাবে নষ্ট করে দিয়েছে দালাল রাকিব। আবুল কালাম গত 6 মাস আগে ভাগ্য বদলের আশায় প্রথমে ১৪ লাখ টাকায় ইতালি যাওয়ার চুক্তি হয় দালাল রাকিব এর সাথে, লিবিয়ায় নিয়ে দালাল চক্রের সদস্যরা অনেককে বিক্রি করে দেয় মাফিয়ার কাছে। টাকার জন্য মুখে গামছা বেঁধে চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। পরিবারের সাথে যোগাযোগ নেই। কারণ আবুল কালাম মারা কয়েকদিন পরে জানা যায়।দালাল রাকিব এতদিন কাউকে এ কথা জানাই নাই পরিবারের লোকজন কাছে। আজকে লাশ শনাক্ত হলে জানা যায় আবুল কালাম আর বেঁচে নাই মারা গেছে। আবুল কালামের ছোট্ট দুই সন্তান রেখেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন। ছেলে দুটো বাবার ছবি দেখেই চলছে। কিন্তু বাবাকে আর দেখতে পাননি। দুই বছরের শিশুসহ পরিবারের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে গিয়ে আবুল কালাম মারা যাওয়াতে অনিশ্চিত হয়ে গেল তার পরিবারের ভবিষ্যৎ।তার এই অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার নিজ বাড়িতে ও গ্রামে।দালাল রাকিবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। এর বিচার চাই।দালাল রাকিবকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি এলাকাবাসীর যাতে আর কারো সাথে এরকম অনৈতিক কর্মকাণ্ড না করতে পারে। এই ঘটনায় মামলায় হলে আসামী কে গ্রেফতারের বিষয় পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে। তবে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বৈধ পথে বিদেশে না যাওয়ার পরামর্শ দেন।
Leave a Reply