সাইফুল ইসলাম /শহিদুল ইসলাম শহিদ ঃ
মাদারীপুরের রাজৈরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে গাছ পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় ৫ ঘন্টা পর যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়। এদিকে মাদারীপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির নবনির্মিত টেকেরহাট জোনাল অফিসের পাশের দেওয়াল ভেঙ্গে পরায় বিদ্যুতের ৭টি খুঁটি পড়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ। সোমবার সারাদিন বৃষ্টি হওয়ায় ফসলের ক্ষেতে পানি ঢুকে পড়েছে এবং তীব্র বাতাসের কারনে আমন ধান নুয়ে পড়েছে।
সরেজমিন ঘুরে ও বিভিন্ন অফিস সুত্রে জানা যায়, সোমবার সারাদিন বৃষ্টি এবং বিকাল থেকে দমকা হাওয়ার কারনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছন্ন হয়ে যায়। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর উপজেলার শানেরপাড় ও কামালদি নামক স্থানে গাছ পড়ে সন্ধা ৭টা থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে মস্তফাপুর হাইওয়ে পুলিশ, রাজৈর ও মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের ৫ ঘন্টা চেষ্টার পর রাত ১২ টার দিকে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়।
রাজৈর ফায়ার সার্ভিসের লিডার এস এম সিদ্দিক জানান, মহাসড়কে গাছ পড়ার সংবাদ পেয়ে আমরা গাড়ী নিয়ে বের হয়ে বিভিন্ন জায়গায় বাধার সম্মুখীন হই। প্রথমে রাজৈর বাসষ্টান্ডে ভেঙ্গে পড়া বাঁশের নির্মিত তোরণ অপসারন করি। পরে শানেরপাড় মহাসড়কের উপর থেকে পড়ে যাওয়া গাছ অপসারন করে কামালদী গিয়ে মহাসড়কের উপর পড়ে যাওয়া গাছ অপসারন করি। এসব করতে আমাদের ৪ ঘন্টার অধিক সময় লেগেছে।
পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির টেকেরহাট জোনাল অফিসের ডিজিএম মাহমুদুল হাসান জানান, আমাদের অফিসের নবনির্মিত ১২০ ফুট দেওয়াল ভেঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটির উপর পড়েছে। এতে ৭টি খুঁটি উপড়ে গেছে। আমাদের ৬ লক্ষ টাকার মত ক্ষতি হয়েছে। আমরা তড়িঘড়ি কাজ করে কিছু এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ দিতে পেরেছি। সম্পূর্ন সংযোগ দিতে আরও ২৪ ঘন্টা সময় লাগতে পারে।
রাজৈর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফরহাদুল মিরাজ জানান, রোপা আমন ও বোনা ধান মিলে আমাদের ৭’শ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছিল। এর মধ্যে ৪’শ হেক্টর জমিতে পানি ঢুকে পরেছে। পানি নেমে গেলে এবং ঠিকমত রোদ পেলে আমন ধানের বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। এছাড়া ১০০ হেক্টর সবজির ক্ষেতে পানি ঢুকেছে। এর মধ্যে ২০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
Leave a Reply