নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ গণবিদ্যা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের
অভিযোগের ঘটনার তদন্ত করেছেন জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ইউনূস ফারুকী। ১৯
জুন সোমবার সকাল ১১টায় স্ব-শরীরে গিয়ে তিনি ওই তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন। এ
সময় শিক্ষা অফিসার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির এডহক কমিটির সভাপতি
ফয়েজউদ্দিন আহমদ লাভলু,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল জাব্বার এবং
অভিযোগের বাদী ম্যানেজিং কমিটির সাবেক অভিভাবক সদস্য আনোয়ার হোসেনসহ
অন্যান্য সদস্য ও শিক্ষকমন্ডলীরাও উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত পর্যালোচনা শেষে
শিক্ষা অফিসার ইউনূস ফারুকী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন,বিগত দিনের
কর্মকান্ড থেকে প্রতীয়মান হয় গণবিদ্যা নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয় একটি
স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ। ক্ষুদ্র মত পার্থক্যের কারণে হয়তো নিজেদের মধ্যে
ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। আশা করি অচিরেই তাদের ভুল বুঝা বুঝি
নিস্পত্তি করে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে সবাই মিলে মিশে কাজ করবে। তাদেরকে
সময় বেধে দেয়া হয়েছে স্কুল কমিটি নিয়ে আদালতে যে মামলা বিচারাধীন রয়েছে
বাদী সেই মামলা প্রত্যাহার করে নিলেই বিষয়টি সহজ হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের এডহক কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব ফয়েজ উদ্দিন আহমদ
বলেন,জেলা শিক্ষা অফিসার তার নিয়মের তদন্ত করে গেছেন। এখানে কে কি চিন্তা
ভাবনা নিয়ে কাজ করছে জানিনা তবে আমি প্রকৃত অর্থে চাই বিদ্যালয়টি তার
আগের ঐতিহ্যে ফিরে আসুক। লেখা-পড়ার মান বাড়ুক। সকলে মিলে মিশে
সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি বজায় বিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করার প্রত্যয় নিয়েই
আমার আসা। এক কথায় আমি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন চাই। ভারপ্রাপ্ত প্রধান
শিক্ষক আব্দুল জাব্বার বলেন,আমি বরাবরই বিদ্যালয়ের ভাল চেয়েছি এবং ভাল
করার চেষ্টা করছি কিন্তু আমাকে কিছু লোক সেই ভাল কাজ করতে বাধাগ্রস্থ
করছে। এই প্রতিষ্ঠানের ভাল করতে গিয়ে আমার স্কুলের এক ছাত্রীর আত্নহত্যার
মামলার আসামীও হতে হয়েছে আমাকে। অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল আমাদেরকে
হ্যারেজমেন্ট করার জন্য। সত্যিকার অর্থেই আমি বিদ্যালয়ের ভাল চাই
সারাজীবন ভাল করারই চেষ্টা করবো।
ভয়ংকর সন্ত্রাসী বল্টু আমাজাদ
বাহিনী ফের বেপরোয়া
নিজস্ব সংবাদদাতা:
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের বক্তারকান্দি,আমিরাবাদ ও
দেউলি চৌরাপাড়া এলাকার মূর্তমান আতংক বন্দর থানার তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী
আমজাদ ওরফে বল্টু আমাজাদ বাহিনী আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আসন্ন
ঈদ-উল-আযহা’কে সামনে রেখে ইজারাবিহীন গরুর হাট বসানো থেকে শুরু করে
চাঁদাবাজী,রাহাজানী থেকে শুরু করে প্রতিদিন নানা অপকর্মের নেতৃত্ব দিয়ে
আসছে চিহ্নিত এই সন্ত্রাসী। বল্টু আমজাদ ও তা গ্যাং
হত্যা,ধর্ষণ,চাঁদাবাজী ও অস্ত্র মামলা কাধে নিয়ে দীর্ঘ দিন সন্ত্রাসের
রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। তার বহিনীর হুকুমে চলে মাদক বিক্রি করায় দেউলী
চৌরাপাড়া সোমবাড়িয়া বাজার লক্ষনখোলা ও তার আশে পাশে এলাকায় এলাকায় আকিজ
এর গাড়ি চলাচল করে সে জন্য সেই গাড়ি বাবদ আকিজ কোম্পানির কর্মকর্তাদের ভয়
দেখিয়ে তাদের থেকে চাঁদা দাবি করে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান হলেতো কথাই নেই
মাসোহারা দিয়ে ওইসকল শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাজ চালু করতে হয়। গরুর
হাট,ঘাটের ইজারা সবকিছুতেই বল্টু আমজাদ বাহিনী থাকে অগ্রভাগে। তাদের
অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ বা টু-শব্দ করলেই তাকে হয়তো জীবন নয়তো
সর্বস্ব হারাতে হয়। দিনের পর দিন বল্টু আমজাদের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম
হওয়ায় দেউলসহ আশ পাশের চার গ্রামবাসীর রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। বল্টু
আমজাদ এর এখন নতুন কিশোর গ্যাং বাহিনীর কারণে প্রতিদিনই নির্ঘুম রাত
কাটাতে হয় এলাকাবাসীকে। সেই কিশোর গ্যাং নেতৃত্ব দেয় তারই দুই ছেলে হৃদয়
ও আপন বল্টু আমজাদ নিজেকে কখনো শামীম ওসমানের লোক কখনো বা আবার মেয়র
আইভীর লোক আবার কখনো আজমীর ওসমানের লোক পরিচয়ে তাদের ছবি যুক্ত পোষ্টা
ছাপিয়ে এসব অপকর্ম করে বেড়ায়। তার একটি বিশাল বাহিনী রয়েছে যারা
প্রতিনিয়তই মাদক বিক্রি চুরি,ছিনতাই,চাঁদবাজী করে থাকে। স্থানীয় থানা
পুলিশের কতিপয় অসাধু সদস্যের সঙ্গে তার যোগসূত্র থাকায় ভুক্তভোগীরা আইনের
আশ্রয় নিতে চাইলেও তা থেকে বঞ্চিত হন। অতিসম্প্রতি ওই এলাকার বেশ কিছুদিন
আগে জনৈক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। আহত ওই ব্যক্তি
থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তাকে ফিরিয়ে দেয়। বল্টু আমজাদের অপকর্মের
এখানেই শেষ নয় এলাকায় আতংক ছড়াতে প্রতিদিন দেশীয়
অস্ত্র-সস্ত্র,টেঁটা-বল্লম নিয়ে দিনে দুই থেকে চারবার করে মহল্লা জুড়ে
মহড়া দেয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে বন্দর থানায় নতুন কোন অফিসার ইনচার্জ
এলেই বল্টু আমজাদ নিজেকে আওয়ামীলীগ নেতা দাবি করে সেই অফিসার ইনচার্জকে
নিজ বাড়িতে এনে আপ্যায়ন করে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে তাদের
সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করে নানান অপকর্ম করে বেড়ান। তার ভবিষ্যত উত্তরসুরী
দুই কু-পুত্র ছোটবেলা থেকেই বাবার পথ অনুসরণ করে মহল্লায় ত্রাসের
রাম-রাজত্ব কায়েম করেছেন। তারা কিশোর বয়স থেকে বিভিন্ন অস্ত্রের
প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আবার তা ফেসবুকে পোষ্ট করে বেশ আলোচনায় উঠে আসে। এসব
দৃশ্য চোখে দেখেও প্রতিবাদের সাহস পায়না শান্তিপ্রিয় গ্রামবাসী। ভয়ংকর
সন্ত্রাসী আমজাদ বাহিনীর রাহুর গ্রাস থেকে মুক্তি পেতে অসহায় গ্রামবাসী
র্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ান র্যাবসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহলের
তদন্তপূর্বক কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।
Leave a Reply