গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
” এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিন, জরায়ু মুখ ক্যান্সার রুখে দিন ” — এ স্লোগানকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ “স্বচ্ছতা’য় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন
এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রমের সভাপতি কাজী মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন ও এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রমের সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) গোলাম কবির সহ জেলায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মী সহ অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে “৫ম থেকে ৯ম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্রী” এবং “১০ থেকে ১৪” বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা প্রদান করা হবে। গোপালগঞ্জে পৌরসভা সহ ৫ উপজেলায় সর্বমোট ৬৩,৪৯৮ জন কিশোরীদেরকে মোট ১,৫২২ টি টিকাদান কেন্দ্রে ৪৩৭ জন টিকাদান কর্মী এবং ১,৬৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক এক যোগে এ টিকাদান কর্মসূচি পালন করবেন। ১৮ কর্ম দিবসের টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে তার মধ্যে প্রথম ১০ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থায়ী কেন্দ্র সমূহে এবং পরবর্তী আট কর্ম দিবসের নিয়মিত ইপিআই স্থায়ী এবং অস্থায়ী টিকা দান কেন্দ্রে কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে উক্ত ক্যাম্পেইন থেকে টিকা পেতে “www.vaxepi.gov.bd” ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে। এছাড়াও নিবন্ধনে ব্যর্থ শিক্ষার্থীরা জন্মনিবন্ধনের সনদ নিয়ে টিকা কেন্দ্রে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে টিকা নিতে পারবেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, জরায়ু মুখ ক্যান্সার রুখে দিতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। এক ডোজ টিকার মূল্য প্রায় ৪ হাজার টাকা যা বর্তমান সরকার সম্পূর্ণ বিনামূল্য প্রদান করছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বলেন, এ টিকায় তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী সুস্থ ও স্বাভাবিক সকল কিশোরীদেরকে এ টিকা দেওয়া হবে। পরিশেষে জেলা প্রশাসক এ কার্যক্রম সফল করতে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
Leave a Reply