নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মসজিদের নামে বরাদ্দকৃত ঘাটলা ব্যক্তি স্বার্থে অন্যত্র নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মুকসুদপুর উপজেলার সালিনাবক্স গ্রামে। জানা যায় ২০২২ সালে এলজিইডি গোপালগঞ্জ সালিনাবক্স পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদের নামে একটি ঘাটলা নির্মাণের জন্য টেন্ডার আহ্বান করে এবং ঠিকাদার নিয়োগ করে। পনেরো পয়েন্ট ২০ মিটার দীর্ঘ এবং ৫ মিটার প্রস্থ ঘাটলাটি মসজিদের মুসল্লিদের ব্যবহারের সুবিধার কথা চিন্তা করে এ প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত ঘাটলাটি নির্মাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে এলজিইডি গোপালগঞ্জ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মসজিদের জন্য বরাদ্দকৃত ঘাটলাটি প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার দূরে জনৈক মামুন লস্করের বাগান বাড়ির লোকজনের ব্যবহারের স্বার্থে কুমার নদীতে ঘাটলাটির নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ঠিকাদার। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকাবাসীসহ মসজিদের মুসল্লীগণ। মুসল্লিদের অভিযোগ, বিশ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঘাটলাটি আমাদের কোন কাজেই আসবে না। মুসল্লিদের অভিযোগ এলজিইডি গোপালগঞ্জ মামুন লস্করের পরিবারের কাছ থেকে স্বার্থ নিয়ে ঘাটলাটি মসজিদের কাছে না দিয়ে তাদের বাগান বাড়িতে তৈরীর উদ্যোগ নেয়। মসজিদের মুসল্লি এবং গ্রামবাসীরা এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিকারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর ও এলজিইডি’র প্রধান প্রকৌশলী বরাবরে সমস্যা সমাধানের জন্য আবেদন করেছেন।
এলজিইডি গোপালগঞ্জ এর নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে বারবার বিষয়টি জানানো হলেও তিনি এ বিষয়ে কোন সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। মসজিদের নামে বরাদ্দকৃত ঘাটলা ব্যক্তি স্বার্থে মামুন লস্করের বাগানবাড়িতে তৈরি করার চেষ্টা করলে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ ঘাটলা ব্যক্তি স্বার্থে নির্মাণ করা হলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
এবিষয়ে জানতে এলজিইডি গোপালগঞ্জ -এর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে বারবার গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার ব্যবহৃত মুঠোফোন (০১৭৩…..৭৫০) নম্বরে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। প্রশাসন থেকে বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধান করবেন এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
Leave a Reply