নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়ার জলিল ভুঁইয়ার ছেলে মোঃ অছিকুর ভূইয়াকে গুলি করে হত্যা করে বর্তমান গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান ভূইয়া লুটুলের সমর্থকরা।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়, এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সামান্য তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। গুলি করে হত্যার ঘটনা গোপালগঞ্জের রাজনীতিতে আবারো ২৩ বছর পর ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে সংঘটিত হলো।
বুধবার (১৫ মে) দুপুর ১২টায় গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ মাঠ থেকে জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃত্বে অছিকুর ভূইয়ার হত্যার প্রতিবাদে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা।
সকল নেতা-কর্মীদের মুখে একটাই স্লোগান হত্যার বিচার ও প্রধান মন্ত্রীর এ.পি.এস-২ গাজী হাফিজুর রহমান (লিকু) গাজীকে চাকুরি থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা । গোপালগঞ্জের চলমান রাজনীতিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী হিসেবে লেকু গাজীকেই দায়ী করছেন তারা। এদিকে অছিকুরের মরদেহ সামনে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারীরা।
এসময় অছিকুর ভূইয়া হত্যার বিচার দাবি করেন তারা। এ অবরোধ চলে টানা দুই ঘন্টা।
সমাবেশে বক্তব্যকালে গোপালগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মোঃ আলিমুজ্জামান বিটু বলেন, কালো টাকার প্রভাব খটিয়ে অস্ত্রের মুখে জনগণের রায়কে কেড়ে নিয়ে ভোটের মাধ্যমে যে নির্বাচিত হয়েছে তাকে বাদ দিয়ে কামরুজ্জামান লুটুল ভুইয়াকে সরকারিভাবে ঘোষণা দিয়ে গোপালগঞ্জে অসন্তোষের সৃষ্টি করেছে। সেই কুচক্রী মহল শান্ত গোপালগঞ্জকে অশান্ত করার লক্ষ্যে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আমরা এর প্রকৃত বিচার ও গোপালগঞ্জের সামসাময়িক ব্যাপার গুলো দৃষ্টি দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি’র হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
পরে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক কাজী মাহাবুবুল আলম ও পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা অছিকুর হত্যার বিচারের আশ্বাস দিলে অবরোধ থেকে সরে মহাসড়ক ছেড়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে গোপালগঞ্জে সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূইয়া লুটুল ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএম লিয়াকত আলী ভুঁইয়ার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে বি.এম লিয়াকত আলী ভুঁইয়ার সমর্থক আব্দুল জলিল ভুঁইয়ার ছেলে ওছিকুর ভুঁইয়া (২৮) গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এ সময় আরো ৫ জন আহত হন, আহতরা হলেন, লিওন ভুঁইয়া, হাকিম খন্দকার ও মেহেদি হাসান। এদের মধ্যে লিওন ভূঁইয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply