সাকিবুর রহমান ঃ
গাছ কথা বলে -এ খবরে গাছের কথা শুনতে কান পাতেন শত শত নারী পুরুষ
গোপালগঞ্জের মুকসেদপুর উপজেলায় সেই গাছ কি আসলেই কথা বলে? এমন প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। এ ঘটনায় জানতে ২১ জুন শুক্রবার ঘটনাস্থলে সরেজমিনে যায় জাতীয় সাপ্তাহিক মধুমতি কন্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধিরা। সেখানে গিয়ে স্থানীয় ও প্রসাশন সূত্রে জানা গেছে, গাছে কোনো কথা বলে না। এটা এক প্রকার প্রতারণা ও ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছু নয়।
উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের গোজেনা গ্রামের আলতাফ শেখের ছেলে প্রবাসী কামরুল শেখের বাগানের একটি গাছ কথা বলছে বলে গুজব ওঠে।
গাছে কথা বলছে- এ কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষ ও উৎসুক জনতা সেখানে গিয়ে ভিড় জমায় । তারা গাছের কথা শোনার জন্য গাছের সঙ্গে কান লাগিয়ে থাকে, কিন্তু শোনে না কোনো কথা। মানুষ কথা বল্লে গাছ কোনো কথার উত্তর না দিলেও বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গাছে কথা বলে সংবাদ প্রকাশ করে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন ঘটনা। গাছে কথা বলে না।
গাছ দেখতে আসা কয়েক জন্য নারী পুরুষ জানান, কই গাছে তো কোন কথা বলে না। সালাম দিলাম, কথা বললাম, কোনো উত্তর পেলাম না। আপনারা সাংবাদিক আপনাদের রিপোর্ট দেখে গাছে কথা বলে শুনেছি। এখন দেখতে এসেছি অনেক দূর থেকে। এসে দেখলাম- ঘটনা মিথ্যা ও ভণ্ডামী ছাড়া কিছুই না।
এ বিষয়ে রাঘদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাহিদুর রহমান টুটুল জানান, আমার ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের গোজেনা গ্রামে গাছে কথা বলে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও বিভিন্ন মিডিয়াতে দেখতে পাই।
তিনি আরও জানান, গাছে কথা বলে ঘটনাটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভণ্ডামী বটে।
এ বিষয়ে উপজেলার সিন্দিয়ার ঘাট নৌ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মো. শওকত হোসেন জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। গাছে কোনো কথা বলে না। এটা ভণ্ডামি প্রতারণা ছাড়া আর কিছু না। স্থানীয় কিছু লোক গাছের চারপাশে বেড়া দিয়ে অর্থ উপার্জনের পাঁয়তারা করছিল।
তিনি বলেন প্রসাশনের সহয়োগিতায় বাঁশের বেড়া ভেঙ্গে দিয়েছি। প্রতারণা ও ভণ্ডামি বন্ধ করে দিয়েছি।
Leave a Reply