শহিদুল ইসলাম শহিদ ঃ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার পশারগাতি ইউনিয়নের ৮ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লিপি নাসরিন শুধু একজন মানুষ গড়ার কারিগরই নন তিনি বিভিন্ন সময়ে একাধিক এতিমখানায় ও হতদরিদ্রের মাঝে এই সেবা দিয়ে আসছেন।তিনি প্রতি বৎসরের ন্যায় এবারও পবিত্র মাহেরমজান মাসে নিজস্ব ও পারিবারিক অর্থায়ানে “রহমাতের ঝুড়ি “নামক সেবা কার্যক্রম শুরু করেছেন!সে ধারাবাহিকতায় গত ১৮ এপ্রিল নিজেস্ব অর্থায়নে নিজ বিদ্যালযের হত দরিদ্র ,এতিম শিশু ,বাহিরবাগ শামসুলউলুম এতিমখানা ,পশারগাতী এতিমখানা ও মাদাসা তথা এলাকার শতাধিক এতিম,প্রতিবন্ধি, দুস্হ,দিন মজুর, অসহায় ও দুস্থদের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী (চাল,ডাল ,চিনি,তেল,ছোলা,খেজুর,মুড়ি )ও ইফতার বিতরন করেছেন।এ সকল এতিম অসহায় মানুষেকে তিনি ১ সপ্তাহের একটি নিত্যপ্রোয়জনীয় প্যাকেজ এতিম,দুস্ত, অসহায় ও দিন মজুরের হাতে তুলে দেন। এসব প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পেয়ে
এতিম,দুস্ত, অসহায়,ও দিনমজুরেরা খুবই উচ্ছ্বসিত হন এবং মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করেন। মানবিক শিক্ষিকা এর আগে তিনটি এতিম মাদ্রাসায় ৩০ টি স্লিং ফ্যান দান করেছেন এবং কাশিয়ানী হাইশুর বৃদ্ধাশ্রমে ও খাদ্য সামগ্রী বিতরন করছেন ।মানবদরদী শিক্ষিকার এমন মহৎ উদ্যোগে এলাকাবাসী ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এব্যপারে শিক্ষিকা লিপি নাসরিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমাদের পরিবার সম্পূর্ণ রুপে একটি রাজনীতি মুক্ত পরিবার।কোন উদ্দেশ্য প্রনোদিত না হয়ে আমরা শুধুমাত্র মানুষের সেবাওকল্যানের জন্য করে থাকি।আমি যতো দিন বেচে থাকবো ততো দিন আমার ও আমার পরিবারের সহযোগিতায় এধরনের কার্যক্রম করে যাবো ইনশাআল্লাহ।তিনি যাতে এধরণের কার্যক্রম করে যেতে পারেন সে জন্য সকলের সহযোগিতা ও দোয়া চেয়েছেন।
Leave a Reply