শহিদুল ইসলামঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে প্রেমের বিয়েতে সুখ হলোনা কপালে : বিয়ের সাত মাসেই লাশ হল সোনিয়া
ফুফু বাড়ি বেড়াতে গিয়ে প্রেম তার পরে বিয়ে সাত মাস পরেই লাশ হলো সোনিয়া। ১১ জুন শনিবার সোনিয়া স্বামী ও তার দুলাভাইসহ পরিবারের মানসিক নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে গলায় ফাস দিয়ে আত্বহত্যা করেন । ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরের পাথরাইল গ্রামে। প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন সোনিয়া ।
সোনিয়ার ফুফু সাজিদা বেগমে দৈনিক বাঙ্গালী খবরের রিপোর্টারকে বলেন , আমার বিয়ে হয়েছে গাড়লগাতী গ্রামে সোনিয়া আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসত মাঝে মাঝে। রাজিবের সাথে পরিচয় হয় সোনিয়ার তাদের মাঝে প্রেম ভালবাসা হয়।
বিষয়টি যানাযানি হলে সবাই বাধা দেয় রাজিব সোনিয়াকে বার বার বাড়ি ছেড়ে রাজিবের সাথে পালিয়ে যাওয়ার কথা বললে সোনিয়ার বয়স কম থাকায় বুজে উঠে না পারায় নিজের মায়ের কাছে বলে সোনিয়া ।
এ বিষয়ে রাজিবের পরিবারকে অবগত করেন সোনিয়ার মা । রাজিব পরিবারের কথা অমান্য করে রাজিব সোনিয়াকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সোনিয়াদের বাড়ি চলে আশে রাজিব । রাজিবকে আটকে রেখে রাজিবের পরিবারের হাতে বুঝে দেয় সোনিয়ার পরিবার তাও এক বার নয় তিনবার একই কাজ করেন । পরে আবারও রাজিব সোনিয়ার বাড়িতে আশলে
দুই পরিবার মিলে সোনিয়াও রাজিবের বিয়ে দেন । ভালোই ছিলো ভালোবারসার ঘর হঠাৎ রাজিবের বোনের জামাই মনির ও মাসহ পরিবারের সবাই মিলে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে সোনিয়ার পরিবারের কাছে। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় শুরু হয় দুই পরিবারের সম্পর্কের কলহ । সোনিয়াকে বাবার বাড়ি রেখে যায় প্রায় তিন মাস আগে পরে থেকে আর কোন যোগাযোগ বা কোন খোজ খবর নেন না সোনিয়ার স্বামী ও শশুর বাড়ির কেউ ।
সোনিয়ার ভাই সজিব দৈনিক বাঙ্গালী খবরকে বলেন, আমার বোন মানসিক নির্যাতনের শিকার ছিল আমার বোন রাজিবের জন্যই মরেছে ও আমার বোনের মৃত্যুর জন্য রাজিব ও রাজিবের দোলাভাইসহ পুরো পরিবার দায়ী।
মুকসুদপুর থানার অফির্সার ইনচর্জ মোঃ আবু বক্কর মিয়া জানান, সোনিয়ার লাশ ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে, মুকসুদপুর থানায় একটি অপহত্যা মামলা হয়েছে ।
Leave a Reply