Bandar News
ডেভিল হান্টের অভিযানে
বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা
আলী আজগর ভূইয়া গ্রেফতার
বন্দর প্রতিনিধি
বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আলী আজগর ভূইয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে র্যাব-১১। ১৬ ফেব্রুয়ারী রোববার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে বন্দর থানার মদনপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আলী আজগর ভূইয়া মদনপুর বড় সাহেব বাড়ি এলাকার মৃত জসিমউদ্দিন ভূইয়ার ছেলে। আলী আজগর ভূইয়া বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। বিগত ৫ আগষ্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের উপর গুলি চালানোসহ বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে তার সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বন্দর থানাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ তারিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,ধৃত আসামী আলী আজগর ভূইয়াকে র্যাব-১১ এর একটি টিম আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে গোপনীয়তার স্বার্থে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা সম্ভব নয়।
বন্দর উপজেলা ভূমি অফিসে দিনার
সিন্ডিকেটের ঘুষ বানিজ্য চরমে
॥ এ বিষয়ে কিছুই জানি না: দিনার
বন্দর প্রতিনিধি
বন্দর উপজেলা ভূমি অফিসের নামজারী সহকারি ইমরান হোসেন ওরফে দিনারের বিরুদ্ধে ব্যাপক ঘুষ-দুণীতির অভিযোগ উঠেছে। ভূমি সেবার নাম করে ধুর্ত এ কর্মকর্তা একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে। নির্ভরযোগ্য ওই সূত্রটি জানায়,ইমরান হোসেন ওরফে দিনার অত্যন্ত সুক্ষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বন্দরের ভূমিসেবা প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রতিদিনই হাজার হাজার টাকা উৎকোচ হাতিয়ে নিচ্ছেন। দিনারের অর্থ আদায়ের সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা হলেন মিসকেস সহকারি নাসরিন আক্তার এবং তার ওমেদার মাহাবুব। তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে সেবাপ্রার্থীরা অনলাইনে তাদের ভূমির নামজারী বা মিসকেস করার পর উপজেলা সহকারি কমিশণার (ভূমি) অফিসের দায়িত্বে তা নিরুপণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ভূমি অফিসের সাধারণ প্রক্রিয়া অনুযায়ী সেসব আবেদনে ডেসপাস নাম্বার বসিয়ে এসিল্যান্ডের নিকট দাখিল করা হয়। এসিল্যান্ড ক্রমানুসারে প্রত্যেককেই শুনানীতে ডাকেন। শুনানী শেষ হওয়ার পর রহস্যজনক কারণে সেসব ফাইল আটকে থাকে। নিয়ম মোতাবেক সেবাপ্রার্থীদের মিসকেস ও নামজারী সংক্রান্ত তথ্যাবলী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন কিংবা যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে উপজেলায় পাঠানো হয়। কিন্তু দিনার সিন্ডিকেটের গোলচক্করে পড়ে সেসবের কিছুই হয়না। দিনার সিন্ডিকেটের সঙ্গে আঁতাত করে কাজ করেন শুধুমাত্র তাদের কাগজপত্র এবং কর্মপ্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করা হয়। দিনার সিন্ডিকেটের কারণে প্রতিদিন অগণিত সেবাপ্রার্থী হয়রানির শিকার হচ্ছেন। দিনার গংয়ের নিরব ঘুষ-দুণীতি সাধারণ ভূমি মালিকদেরকে দূর্বিষহ করে তুলছে। এ ব্যাপারে সেবা নিতে আসা জনৈক ভুক্তভোগী জানান,আমরা জানি ভূমি অফিসের সেবা নিতে সরকারি নির্ধারিত ফি ছাড়া বেশি টাকা লাগেনা। কিন্তু বাস্তবে গিয়ে দেখি তার উল্টোটা। সেই আগের মতোই আছে ভূমি অফিস। টাকা ছাড়াতো ফাইল নড়েই না। বরং দিনার সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে আছে গোটা বন্দরের সাধারণ ভূমি মালিকরা। এ সংক্রান্তে অভিযুক্ত দিনারের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান,আমি বন্দর উপজেলা ভূমি অফিসে মাত্র নতুন জয়েন্ট করেছি মাত্র বছর খানেক হয়েছে। এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানি না,আপনার এসিল্যান্ড স্যারের সঙ্গে আলাপ করে জানতে পারেন।
জনগন ও যান চলাচলের সুবিধার্থে
২২নং ওয়ার্ডে চাঁদাবাজী বন্ধে ডিসি,এসপি
ও সিটি কর্পোরেশনে অভিযোগ
বন্দর প্রতিনিধি
জনগন ও যান চলাচলের সুবিধার্থে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ডে সিএনজি,থ্রি-হুইলার ও অটোরিকশাসহ বিভিন্ন হাল্কা যানাবাহনের টোল উত্তোলনের দরপত্র বন্ধের দাবিতে ডিসি,এসপিসহ সিটি কর্পোরেশনের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনসাধারণ। ১৬ ফেব্রুয়ারী রোববার বন্দর থানা বিএনপি’র সভাপতি শাহেনশাহ আহাম্মেদসহ ২২ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনসাধারণের গণসাক্ষর সমেত অভিযোগ ওইসকল দপ্তরে দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রটিতে উল্লেখ করা হয়,আমরা বন্দর থানা ও ২২ নং ওয়ার্ডের সাধারণ জনগন। আমরা জীবিকা নির্বাজের এবং নিত্য প্রয়োজনে সড়কে যাতায়াতের সময় প্রতিনিয়তই লক্ষ্য করছি যে,২২নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন রাস্তার অলি-গলি ও মোড়গুলোতে সিটি কর্পোরেশনের নামে টিকিটের মাধ্যমে টাকা আদায় করছে। রাস্তায় দাড়িয়ে মোড়ে মোড়ে গাড়ি থামিয়ে তারা টাকা আদায়ের কারণে ২২নং ওয়ার্ডের প্রতিটি স্থানেই প্রকটভাবে যানজট সৃষ্টি করে। এমনিতেই রাস্তাগুলোর প্রসস্ত কম তার উপরে এভাবে যান আটকে চাঁদাবাজীর কারণে ওইসকল রাস্তা দিয়ে চলাচল করাটাই দায় হয়ে পড়ে। যানজটে পড়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময় নষ্ট হওয়ায় তারা সময়মতো তাদের স্কুল-কলেজেও আসা-যাওয়ায় চরমভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। অন্যদিকে এইসকল এসব চাঁদাবাজী নিয়ে প্রায় সময়ই চাঁদাবাজদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষে লিপ্ত থাকতে যায়। এদের কারণে বন্দর খেয়াঘাট ও তার আশ পাশের এড়িয়াগুলোতে মারামারি,কোপাকুপি লেগেই থাকে এতে সাধারণ মানুষের জান মালের নিরাপত্তায় চরম সংশয় দেখা দেয়। ৫ আগষ্টের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তখন এসব চাঁদাবাজী বন্ধ করে দেয়াতে এলাকাবাসী ও সাধারণ জনগণের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছিল কিন্তু নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নতুন অর্থবছরে ২২নং ওয়ার্ডে পুণরায় ইজারার দরপত্র আহবান করায় জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার করছে। ২২নং ওয়ার্ডবাসী ও বন্দরের সর্বস্তরের জনসাধারণ বন্দর খেয়াঘাটসহ আশ পাশের এলাকায় টিকিটের মাধ্যমে চাঁদাবাজী অনতিবিলম্বে স্থায়ীভাবে বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছেন।
Leave a Reply