গোপালগঞ্জ এস.এম.মডেল সঃ প্রাঃ বিঃ এর প্রধান শিক্ষক মাহবুব মুন্সীকে জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জ এস.এম. মডেল সঃ প্রাঃ বিঃ এর শিক্ষার্থীদের যাদুবিদ্যার বই কিনতে বাধ্য করলো প্রধান শিক্ষক, এমন শিরোনামে একটি সংবাদ “দৈনিক আমাদের কন্ঠ” নামের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।।
প্রতিবেদনটিতে আরো উল্লেখ করা হয় বিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নরত প্রতিটি শিক্ষার্থীদের ভারতীয় এক নাগরিককে এনে টাকার বিনিময়ে ম্যাজিক বই কেনার জন্য প্রত্যেককে বাধ্য করা হয়। পাশাপাশি উল্লেখ করা হয় প্রধান শিক্ষক মাহবুব মুন্সীর স্ত্রী সহকারী শিক্ষক রুখসানা আক্তার লিরা পরিচালিত রাইস এডুকেশন কেয়ার নামের একটি কোচিং সেন্টার রয়েছে। যেখানে এই স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়াতে বাধ্য করতেন তারা। কোচিংয়ে না পড়লে বাচ্চাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা সহ ক্লাসে ফেল করানোর ভয় দেখানো হতো এবং এই কোচিং সেন্টারটির মালিক প্রধান শিক্ষকের সহধর্মিনী স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা রুকসানা আক্তার লিরা।
অনলাইন নিউজ পোর্টালে এমন সংবাদ প্রচার হওয়ার পর নানান মহলে আলোচনা, সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয় স্কুল কর্তৃপক্ষের। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহবুব মুন্সী।
প্রচারিত প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে প্রধান শিক্ষক গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, জাদুর বই কেনার জন্য কাউকে বাধ্য করা হচ্ছে না। যদি কোন ছাত্র-ছাত্রী কিনতে চায়, তাহলে সে কিনতে পারবে। এছাড়াও আমার সহধর্মিনী স্কুলের সহকারী শিক্ষক রুকসানা আক্তার লিরা স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কোচিং করাতে বাধ্য করেন ভয়-ভীতি দেখান এমন বানোয়াট কথাবার্তা লেখা হয়েছে আপনাদের জানিয়ে রাখতে চাই এই রাইস এডুকেশন কেয়ার কোচিং সেন্টার এর সাথে সহকারী শিক্ষিকার কোন প্রকার মালিকানার সম্পর্ক নেই। এছাড়াও নিউজটিতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষ এবং বর্তমান ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ১০ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করার যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
একটা মহল সুপরিকল্পিতভাবে আমার স্কুলের সুনাম ও আমার ব্যক্তিগত সম্মানহানির জন্য এমন প্রতিবেদন প্রচার করেছে। আমি যার তীব্র নিন্দা জানাই। আমি দ্রুতই এই মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন খবর প্রচারের জন্য দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Leave a Reply