1. modhumotikanthobd@gmail.com : Shohidul Islam : Shohidul Islam
  2. modhumotikantho@gmail.com : support : Shohidul Islam
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও নিরাপদ অভিবাসন -এর লক্ষ্যে মুকসুদপুরে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত সরকারি প্রকল্পের কাজ না করেই অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে কাশিয়ানীতে জাটকা বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকে জরিমাণা. শেখ মোহাম্মদ পারভেজ কাশিয়ানী প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জে দুই ইউপি মেম্বারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ১০ রিকি শেষ গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: কাশিয়ানীতে ২৫ মার্চ গনহত্যা ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা. হাইমচরে বিভিন্ন শাড়ী প্রস্তুতে দৃষ্টি কেড়েছে পল্লীর রনি বাড়ীতে গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কাশিয়ানীতে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: কাশিয়ানীতে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা কাশিয়ানী (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পে

ডুমুরিয়ায় ধানের পোকামাকড় দমনে জনপ্রিয় আলোক ফাঁদ

  • Update Time : বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫
  • ৫৯ Time View

ডুমুরিয়ায় ধানের পোকামাকড় দমনে জনপ্রিয় আলোক ফাঁদ
শেখ মাহতাব হোসেন ডুমুরিয়া খুলনা।

ধানের পোকামাকড় দমনে কৃষকের কাছে আলোক ফাঁদ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পোকামাকড় দমনে মাত্রাহীন পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ, পশুপাখি ও মানুষের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। কীটনাশকের এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রোপা আমন ধান রক্ষা করতে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার কৃষকরা আলোক ফাঁদের মতো পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করতে শুরু করেছে। যা আমন ধানের জমিতে কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে সাহায্য করছে। ফলে এক দিকে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে, অপর দিকে ক্ষতিকর কীটনাশক থেকে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষা পাচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, আলোক ফাঁদ ধানের পোকা দমনের একটি পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি। এ পদ্ধতিতে সন্ধ্যার পর ধানখেত হতে ৫০ থেকে ১০০ মিটার দূরে ফাঁকা জায়গায় বাঁশের তিনটি খুঁটি ত্রিকোণাকার করে মাটিতে পুঁতে মাথার অংশ একত্রে বেঁধে দিতে হয়। এরপর মাটি থেকে আড়াই থেকে তিন ফুট ওপরে একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালিয়ে খুঁটির তিন মাথার সংযোগস্থলে রশির সাহায্যে ঝুলিয়ে দিতে হয়।

এর নিচে একটি বড় আকারের প্লাস্টিকের গামলা বা পাত্রে ডিটারজেন্ট পাউডার অথবা কেরোসিন মিশ্রিত পানি রাখা হয়। সন্ধ্যার পর মাঠ জুড়ে যখন অন্ধকার নেমে আসতে থাকে তখন আলোক ফাঁদের আলোর ঝলকে আকৃষ্ট হয়ে ধানখেতের বিভিন্ন পোকামাকড় এ পাত্রে চলে আসে। ইদানীং ধানখেতে বৈদ্যুতিক বাল্বের পাশাপাশি সৌর বিদ্যুতের আলোক ফাঁদও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এভাবে আলোক ফাঁদ ব্যবহার করে ধান ফসলের মাঠে ক্ষতিকর ও উপকারী পোকামাকড়ের উপস্থিতি নির্ণয় করে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অতি অল্প খরচে তৈরি আলোক ফাঁদ অন্ধকার রাতে দেখতে দৃষ্টিনন্দনও বটে। এতে খরচ কম হয় এবং পরিবেশবান্ধব।

সূত্র জানায়, ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ধানের ক্ষতিকর ও উপকারী পোকামাকড়ের উপস্থিতি শনাক্তকরণ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এ বছর রোপা আমন ধানে আলোক ফাঁদ স্থাপনের এক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে এ উপজেলার ধামালিয়া , রঘুনাথপুর, রুদাঘরা, খর্নিয়া, আটলিয়া, শোভনা ইউনিয়নের ১৫টি ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় একযোগে প্রতি বুধবার সন্ধ্যায় আমন ধানখেতের পাশে বৈদ্যুতিক ও সৌর বিদ্যুতের আলোক ফাঁদ স্থাপন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। স্ব স্ব ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে আলোক ফাঁদ স্থাপনের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
আলোক ফাঁদ ব্যবহারের মাধ্যমে উপকারী ও ক্ষতিকর পোকার উপস্থিতি চিহ্নিত করে ক্ষতিকর পোকা দমন করা সহজ হয়েছে। কৃষক ফরাদ সরদার বলেন, এ পদ্ধতিতে আমরা আগের চেয়ে কম খরচে ক্ষতিকর পোকা দমন করে ফসল রক্ষা করতে পারছি। আবার উপকারী পোকাও বাঁচাতে পারছি। এতে করে আমাদের উত্পাদন খরচ কমছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন বলেন, আমার ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় কৃষকদের নিয়ে প্রতি বুধবার সন্ধ্যায় আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হচ্ছে। এ ফাঁদের মাধ্যমে ধানের জমিতে বর্তমানে কী কী ক্ষতিকর ও উপকারী পোকামাকড় রয়েছে তা শনাক্ত করে ক্ষতিকারক পোকা দমনে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ধানের জমিতে ক্ষতিকর পোকামাকড়ের উপস্থিতি নির্ণয় করতে আলোক ফাঁদের বিকল্প নেই।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021
Design & Developed By : Modhumoti Kantho